পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরলোক । * ૯૧ স্থিতি, গতি, এই মাত্র বলিলাম। এক প্রকাও অবিনাশী আশ্রয়ে আমি আছি ইহাই জানি, আর কিছু জানি না। আরও বলিতে পারি, ধন থাকিলে চোরে নিতে পারে, বল থাকিলে রোগ তাহাকে সংহার করিতে পারে, জ্ঞানকেও বাদ্ধক্যের বিস্মৃতি মলিন করিতে পারে, দেহকে ষম আহার করিতে পারে ; কিন্তু ইহাতে আমার কিছুই যার না, আমি বিনাশ প্রাপ্ত হই না । এই সকল থাকতে যেমন আমি থাকি না, এই সকল যাওয়াতেও আমি যাই না । আরও কথা আছে, এই ৰে স্থিতিমান আমি, এই আমি চৈতন্যরূপী । এই যে চক্ষে দেখি, ইহার পশ্চাতে আর একটা চক্ষু আছে, তাহা জ্ঞানচক্ষু । আমি চৈতন্যরূপে দেহে অবস্থান-করি। আমি জ্ঞান বস্তু, বুদ্ধির কণিকা । আমি অগ্নিথগুরূপে দেহে বাস করি । জীবনে মরণে আমি এক মহা চৈতন্যের অভিনয় দেখিতেছি। যাহা কিছু হইতেছে, তাহাতেই এক মহা জ্ঞানবিধি যাহারা আসিলেন, তাহারাও এই জ্ঞান চৈতন্যের লীলা অভিনয় করিতে করিতে এক অতি গভীর ও বিস্ময়কর যবনিকার অন্তরালস্থ হইলেন । - হিমালয় প্রকাগু হইতে পারে, কিন্তু মানুষ তাহ অপেক্ষ বড়। হিমালয় আপনাকে জানে না। মানুষ চৈতন্যের প্রভাবে জ্ঞানপক্ষপুটে আকাশে ভ্রমণ করিতেছে। চন্দ্র স্বৰ্য্য তারকার বিষয় মানুষ জানে, ধূমকেতুর মুণ্ডে কি আছে মানুষ তাহাও নির্ণয় করিতে সমর্থ। মানুষ দুৰ্ব্বল হইলেও জ্ঞান দুর্বল হয় না। সমস্ত বিনষ্ট হয়, তথাপি জ্ঞান চৈতন্য বৰ্ত্তমান থাকে। আত্মার আর একটা বস্তু আছে, তাহ প্রেম। যেমন দেশলাইর আগুন দিয়া এই সমস্ত কলিকাতা দগ্ধ করা যাইতে ® পারে, তেমনি প্রেমের দ্বারা সমস্ত ভিন্নতাকে বিনাশ করিয়া এক