পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরলোক । (న আনন্দ শাস্তিতে নিমগ্ন হইয়া কত সাম্বন পাই। মানুষ মরিতে বসে, তথাপি হরিনামের হিল্লোলে তাহার মুখকমল কেমন ফুটিয়া উঠে । দুঃখের পর সান্থন, অশ্রুপূর্ণ লোচনের পাশ্বে সাস্বনার রেখা কি দেখ নাই ? অতএব মৃত্যু দুঃখের কার, নহুে আনন্দের হেতু, চিরশাস্তির বাৰ্ত্তাবহ। এস আমরা সকলে কিছুকাল মৃত্যুর অন্ধকারে বাস করি। এই যে সমস্ত কথা বলিলাম, তাহার সার কি ? মানুষ সচ্চিদানন্দের সন্তান, তুমি সচ্চিদানন্দের সন্তান সচ্চিদানন্দ । তুমি সেই সচ্চিদানন্দের কোলে বিকসিত একটা ফুল। - , , তুমি তাহার অনন্ত বক্ষসমূদ্রজলে একটা বিন্দু; কিন্তু তুমিও সচ্চিদানন্দ। কত যুবতী বিধবা অলঙ্কার বিহীন ; কিন্তু সচ্চিদানন্দ তাহার অন্তরে বাস করিতেছেন। সকল যায়, কিন্তু সচ্চিদানন্দের সন্তান সচ্চিদানন্দই থাকে। এখানের শ্রোতাদিগের মধ্যে এমন কে আছেন, যিনি কখনও দুঃখ পান নাই ? কিন্তু এমনও কেহ নাই, যিনি দুঃখের পর সাত্বনা পান নাই । অন্ধকারের পরে আলোক আছে, - রজনীর সুপ্রভাত আছে, মৃত্যুর পর জীবন আছে। যদি ইহা বুঝিয়া থাক, তবে পরলোক কি তাহ বুঝিয়াছ। পরমেশ্বর নিরাকার হইয়াও দেখা দিয়া যেমন সকল সন্দেহ ভঞ্জন করেন, তেমনি তিনি এই সমস্ত দুঃখ যাতন, মৃত্যুর মধ্য দিয়া পরলোকের সুন্দর বিশ্বাসভূমিতে সকলকে উপস্থিত করিয়া পরলোকের প্রত্যক্ষ প্রমাণ দান করেন। পরলোকতত্ত্ব নিগূঢ়, আমরা ইহার স্বল্পতত্ত্ব সমুদয় অবগত নহি । তথাপি যখন এতদূর বুঝিতে পারিতেছি, তখন বল, মরণে আর ভয় কি ? আমরা যখন বিলাসী, আমরা যখন অবিশ্বাসী, আমরা যখন দেহী, তখন মনে হয়, সচ্চিদানন্দ আবার কি ? অদেহী হওয়া আবার কিরূপ ? કરે