পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘৰ্ম্ম ও নীতি · 국 সকলেই কি ধৰ্ম্মের অভাবে ঈশ্বরের অভাবে নরকে গেল ? ঈশ্বরের রাজ্যে কি কখন এরূপ অনিয়ম ও অবিচার হইতে পারে ? প্রত্যেক মনুষের হৃদয়ে ঈশ্বর ধৰ্ম্মোপদেশ করেন, পুস্তকে নয় । লোকে আপন আপন হৃদয়ের ভাব মাত্র পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিয়া রাখে । প্রত্যেকের অন্তরই ধৰ্ম্মশাস্ত্র যিনি তাহ যত্বপূর্বক পাঠ করেন, তিনি ধৰ্ম্মজ্ঞানী হইতে পারেন । পুস্তকের সাহায্য গ্রহণ করা উচিত, কিন্তু পুস্তকের যে সকল কথা বিবেকবুদ্ধির অননুমোদিত, তাহ ধৰ্ম্ম পুস্তকের লিখা, অতএব সত্য, এই বলিয়া গ্রহণ করিলেই বিষম অনিষ্ট হয় । কুসংস্কার হিন্দু মুসলমান খ্ৰীষ্টিয়ানগণ বিশেষ বিশেষ ধৰ্ম্মপুস্তকে বা ঋষিবাক্যে অনুচিত শ্রদ্ধা ও অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন করাতে তাহদের উন্নতির দ্বার রোধ ও অনেকের ভয়ানক দুৰ্গতি হইয়াছে । শাস্ত্রে কেবল বাধ্য-বাধকতা । যে নিয়ম মনুন্যের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে, তাহা ঈশ্বরের নয় । মনুষ্ঠ স্বাধীন, তাহার স্বাধীনতা ঈশ্বরের উচ্চ দান । স্বাধীনতাতেই মনুষ্য-জীবনের উন্নতি । হিন্দুসমাজের কেন উন্নতি নাই, তাহা কেন চিরকাল একভাবে চলিয়া আসিতেছে বরং দিন দিন অবনত হইতেছে ? তাহার কারণ তাহারা পুস্তকের অধীন, তাহাদের ধৰ্ম্মে স্বাধীনতা নাই, স্বাধীন চিন্ত৷