পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} ধৰ্ম্ম ও নীতি ২৩ উপাজিত অর্থাদি দ্বারা অনুষ্ঠানের জীক জমক করিয়া থাকে, তাহাকে কখন বাস্তবিক ধৰ্ম্মানুষ্ঠান বলা যাইতে পারে না । এই সকল অনুষ্ঠান লোককে সমধিক অভিমানী ও নীচ স্বার্থপর করিয়া তোলে ৷ ধৰ্ম্মের ভাব নিঃস্বার্থ পবিত্র। যথার্থ ধাৰ্ম্মিক পৃথিবীর নিকটে কিছুই আশা করেন না । তিনি নিঃস্বাৰ্থ ভাবে বিনীত ভূত্যের ন্যায় প্রভুর কার্য্য বলিয়া ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করেন । লোকের নিন্দ প্রশংসার কিছুই ধার ধারেন না। এইক্ষণ অন্তরে সাধনা নাই । কেবল বাহাড়ম্বর । ধৰ্ম্মের নামে সচরাচর কপটতা । যে সকল ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান হয়, তাহার মধ্যে কেবল অধৰ্ম্ম । কুৎসিত আমোদ, ইন্দ্রিয় স্থখভোগ, সংসারের সেবা, দাম্ভিকতা ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের লক্ষ্য হইয়াছে । বেশ্বা প্রভৃতির অশ্লীল মৃত্য গীত, এবং স্বরাপান অনেক ধৰ্ম্ম ক্রিয়ার অঙ্গীভূত হইয়াছে। কোথায় ধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান মনুষ্যকে ভক্ত বিনীত পবিত্র করিবে না, গৰ্ব্বিত জঘন্য চরিত্র করিয়া তুলিতেছে। যে কার্য্যে পরিত্রাণ দিবে, না, সে কাৰ্য্য লোককে নারকী করিতেছে । আশ্চৰ্য্য ! ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের পুরস্কার কল্পিত স্বর্গে ও স্বরা অপসরা ভোগ, সাংসারিক ঐশ্বর্ষের বাহাড়ম্বর, শাস্ত্রের এই মত। স্বর্গেতেও এতদূর নীচভাব, কি পরিতাপের বিষয় ! সংসারের সুখ,