পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমস্ত পৃথিবী এই ধৰ্ম্মের গৃহ। . ミ○ পরিবর্তন আসিল। চারিদিকে শীতল বায়ু এবং অন্ধকার, বাহিরে সহায়তা প্রেম ও বন্ধুতার অভাব ; কিন্তু অন্তরে ঈশ্বরের হস্তলিখিত পবিত্র সত্য শাস্ত্র প্রকাশিত। প্রথমতঃ নিজের ক্লেশ, তারপর জগতের ক্লেশ ও অভাব দেখিয়া যখন ঈশ্বরের ভূত্য জগতের সেবা করিতে যায়, তখন ঈশ্বর স্বয়ং তাহার আপনার প্রত্যাদেশরূপ মহা অগ্নি দ্বারা ভূত্যের নিরাশা এবং সন্দেহ অন্ধকার দূর করেন। দাসের অন্তরের অত্যন্ত ক্ষীণ যে প্রদেশ, ঈশ্বর প্রথমে সেই স্থানে প্রবেশ করেন। যেখানে ভূত্য আপনার অসহায়তা দেখিয়া অত্যন্ত দুঃখ পায়, ঈশ্বর প্রথমতঃ সেই স্থানে উপবিষ্ট হন। দুৰ্ব্বলতা তাহার বলের আধার, অসহায়তা তাহার প্রেম প্রকাশের স্থান হয়। যখন অসহায়, বন্ধুবিহীন হইয়া আমি সেই দূরদেশে উপস্থিত হইলাম, তখন আত্মীয়ের স্বদেশে সুখে নিদ্রা যাইতেন, ব্রহ্মমন্দিরের উপাসকমণ্ডলী প্ৰাণেশ্বরের পূজা করিয়া কৃতাৰ্থ হইতেন, বঙ্গদেশে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । প্রচারিত হইত। আমি বিদেশে, দরিদ্রতার মধ্যে, লোকের প্রেম এবং সহানুভূতির অভাবে, দীননাথকে দেখিয়া কৃতাৰ্থ হইতাম। কেবল তাহাত্ত নহে; তোমাদিগকেও ভাবিতাম, তোমরা উপাসনার আনন্দ সম্ভোগ করিতেছ মনে করিয়া সুখী হইতাম। সেই দূরদেশে অনেক ধৰ্ম্মালয়ের অপরূপ গাম্ভীৰ্য্য ও মধুরতা আস্বাদ করিয়া আনন্দিত হইয়াছি ; কিন্তু এখানকার উপাসকমণ্ডলী, এখানকার আচার্য্যের মুখ কি হৃদয় হইতে কখন অপনীত হইতে পারে ? সৰ্ব্বাগ্রে ঈশ্বরকে প্রাণমধ্যে বদ্ধ করিলাম, তারপর এখানকার ব্রাহ্মমণ্ডলীকে হৃদয়ে ধারণ করিলাম। ক্রমে ক্রমে মনের ভয়, অন্তরের ক্লেশ দূর হইল। একদিন যখন চারিদিকে সকলেই নিদ্রিত, আমার নিদ্রাবিহীন রাত্রিতে ঈশ্বর আসিয়া আমার হৃদয়ে তাহার নিজের প্রেম ও গুণের কথা বলিতে লাগিলেন। অনন্তর ক্রমশঃ -- 8 چه*