উপাসনা ご)> অপরাধে সেই কোমল মস্তকে কণ্টক বিদ্ধ ? কি দোষে সেই প্রশান্ত বক্ষে কঠিন ক্রুশের প্রহার ? ইহাত জানিতে আর বাকি নাই । ইহার কাছে তোমার আমার দারিদ্র্য দুঃখ কিছুই নহে । সামান্ত তৃণভার বহন করিতে আমরা অধীর হই । আর সেই বিনম্র মেষ-শাবক অকাতরে সমস্ত ভব ভার বহন করিয়া পিতার মহিমাকে উজ্জল করিলেন । হে অধীর মন, সহকর, উৎপীড়নে অধীর হইও না । পৃথিবীর প্রদত্ত বিষ পান করিয়াও অকাতরে ঈশ্বরের পুত্ৰগণ পৃথিবীকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । ঈশ্বর নিজে ভারবাহী, র্তাহার প্রেরিতগণও সেই প্রণালীতে শিক্ষিত । শাক্যের প্রস্তরময়ী মূৰ্ত্তির এক হাত লম্ববান হইয়া তোমাদিগকে আহবান করিতেছে । অপর হস্ত ক্রোড়ে রক্ষিত হইয়া সমস্ত দুঃখ, সন্তাপ, মৃত্যু, যাতনা, বাৰ্দ্ধক্য, রোগ হইতে শান্তি দিবার জন্ত সঙ্কেত করিতেছে । আবার দেখ সহ্যগুণের সঙ্গে কাৰ্য্যগুণ, ধৈৰ্য্যের সঙ্গে চেষ্টা, শান্তির সঙ্গে উদ্যম, ক্ষমার সঙ্গে হ্যায়ানুসন্ধান, স্থিরতার সঙ্গে উৎসাহ মিলিত না হইলে ধৰ্ম্মচরিত্র গঠিত হয় না। র্যাহারা অমর ধামের অবিনশ্বর গৃহ স্বরূপ হইলেন । র্তাহাদের জীবনে কাৰ্য্যগুণ অতি প্রধান গুণ ছিল ।