পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G २ উপদেশ শাক্য নিরঞ্জনা নদীতীরে যখন গভীর সমাধিতে মগ্ন হইয়া স্থির আচলের ন্যায় নিষ্কৃিয় হইয়াছিলেন, তখন বালকেরা তাহার পৃষ্ঠে কদম নিক্ষেপ করিয়া উপহাস করিত, র্তাহার সেই ধ্যান সমাধি হইতে যদি অবিশ্রান্ত কাৰ্য্য সমুখিত না হইত তাহা হইলে এই বৌদ্ধকীৰ্ত্তি কোথায় থাকিত ? কাৰ্য্যগুণে কি না হয় ? কাৰ্য্যগুণের প্রভাবে কয়লা হইতে মধু জন্মে, মৃত্তিক হইতে স্থস্বাছ দ্রাক্ষা জন্মে । কাৰ্য্যগুণে ধৰ্ম্মের উপকারিতা, জীবনের কীৰ্ত্তি, সৰ্ব্বপ্রকার মঙ্গলাচরণ, ভাবী বংশের জন্য আদর্শ স্থাপন । সেই নিশীথে হরমন পৰ্ব্বতের শিখরে শিস্যবৃন্দ সহ দণ্ডায়মান ঈশার সমস্ত শরীর হইতে যখন রজত-কান্তি বাহির হইতে লাগিল, এবং পরলোকগতগণ যখন র্তাহার পাশ্বে অবতীর্ণ হইলেন, তখন শিষ্যগণ র্তাহাকে বলিলেন, এই সুন্দর স্থান আর পরিত্যাগ করিব না । এই পুণ্যভূমিতে বাস করিয়া জীবন অতিবাহিত করা যাউক । কিন্তু কাৰ্য্যগুণের জলন্ত হুতাশন ঈশ৷ কি তাহাতে সন্মত হইলেন ? যদি তিনি এই প্রলোভনে পড়িয় সদনুষ্ঠানে বিরত হইতেন, তবে কাৰ্য্য-কুশল খৃষ্টজগতের আজ কি দশা হইত ? পতিতাদিগকে কে উদ্ধার করিত ? পাপব্যাধি পীড়িতদিগকে কে