বাধ্যতা ృల్ఫి বিরুদ্ধ হয় । এবং কুপ্রবৃত্তি বিবেকের আকার ধরিয়া নানা পাপে নিযুক্ত করিয়া থাকে। বিবেকের মুখে সরল বাণী, সাক্ষাৎ ঈশ্বরের বাক্য যে শুনিয়া চলিতে পারে, তার শারীরিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক সকল কল্যাণ সঙ্ঘটিত হয়। কিন্তু মানুষ মোহপরবশ হইয়া বিবেককে কলুষিত করে । তখন সে কার কথা শুনিয়া চলিবে ? সাধুগণের জীবনে পরীক্ষিত নানা প্রণালী শাস্ত্রে বিবৃত আছে । তোমার অন্তরে নিত্য জাগ্রত প্রহরী বিবেক তোমাকে নানা উপদেশ দিতেছে, এ সকলের ভিতর দিয়া ভগবানের ইচ্ছা হৃদয়ঙ্গম কর, ও তাহার নিকট বাধ্যতা শিক্ষা করিবে । কিন্তু যখন অন্তরাত্মার নির্দেশ শুনিতেছ। না, যেখানে শাস্ত্রের বিধি পাইতেছন, কোন মহাজন জীবনে পরীক্ষিত সত্যের সঙ্গে তোমার অন্তঃকরণ মিলিতেছে না, বিবেকের পরিষ্কার নির্দেশ আসিতেছে না, তখন কি করিবে ? কতগুলি মোহান্ধ লোক আছে, যাহার আপনার ইচ্ছা, রুচি, ভাব, কথা ভগবানের মুখে আরোপ করিতে সঙ্কুচিত হয় না । যখন আপনারা যাহা চাহে তখনই বিধাতার মুখে তদনুযায়ী আদেশ প্রাপ্ত হয় ; যাই কোন উত্তেজনার সময় কাহাকেও আঘাত করিতে ইচ্ছা হইল, অমনি ভগবান বলিলেন—“যাও, অমুকের মাথা, ভাঙ্গো”, যাই কাহারও কন্যাকে বিবাহ করিতে