পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরক শান্তিকুটার, কলিকাতা রবিবার, ৭ই চৈত্র, ১৮১৯ শক; ২০শে মার্চ, ১৮৯৮ খ্ৰীষ্টাব্দ স্বৰ্গ ও পরলোকের বিষয় অনেকবার আলোচনা করা হইয়াছে । স্বর্গ ও নরক এই দুইটি অপরাপর সম্প্রদায় যেমন স্বীকার করেন, আমরাও তেমন স্বীকার করিয়া থাকি । অন্তের স্বীকার করে বলিয়াই যে, আমরাও মানি তাহা নহে । যেমন পরমেশ্বরকে পরীক্ষা করিয়া, দর্শন করিয়া, তাহার সহবাস স্থধারস আস্বাদন করিয়া নিশ্চিতরূপে তাহাকে বিশ্বাস করি, তেমনি জীবনে স্বর্গের সুখ ও আনন্দ এবং নরকের ভীষণ যন্ত্রণা ভোগ করিয়া, প্রত্যক্ষ করিয়া ইহা স্বীকার করিয়াছি । স্বর্গ ও নরক যদিও নিশ্চিত বিষয়, কিন্তু এই উভয়ই অতি ঘোরতর প্রহেলিকাময় । মানুষ দেহত্যাগী হইলেই ব্রহ্মলোকে গেল কে বলে ? যাহাদিগকে এখানে চিতাক্ষেত্র হইতে বিদায় দিলাম, তাহাদের পথ কতদূর প্রসারিত ? তাহারা কোথায় যায় কে জানে ? তাহার কোন উচ্চতম আকাশবাসী তারকাতে, কি কোন স্থদূরবত্তী উল্কাপিণ্ডে যায়, কি চিরশান্তিময় ব্রহ্মসত্ত্বাবিহারী হয়, আমরা তাহার কি জানি ? ইহলোক হইতে