পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ ঈশ্বরের বিধান সাৰ্ব্বভৌমিক। -- (মাসিক সমাজে বিবৃত ) ররিবার, ৮ই চৈত্র, ১৭৯৬ শক ; ২১শে মার্চ, ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দ। ভাবুক ব্যক্তি মনুষ্যজীবনকে জলবিন্দুর সঙ্গে তুলনা করেন। সমস্ত মানবজাতি একটি প্রশস্ত সমুদ্র। প্রত্যেক মনুষ্য একটি বিন্দুমাত্র। ধৰ্ম্মশাস্ত্রে । লিখিত আছে, স্বষ্টির পূৰ্ব্বে সকল জলময় ছিল। তদুপরি ঈশ্বরের নিঃশ্বাস প্রক্ষিপ্ত হইল। তিনি ইচ্ছাবলে, এই সমুদয় স্থষ্টি করিলেন। সেইরূপ সমস্ত মানবজাতিরূপ সমুদ্রের উপরে ঈশ্বর ভাসিতেছেন, তাহার নিঃশ্বাসে । ধৰ্ম্মজগৎ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। অতএব যদি ঈশ্বরের পূর্ণধৰ্ম্ম সাধন করিতে হয়, তাহা হইলে আমাদিগকে এই সমুদ্রের মধ্যে নিমগ্ন হইতে হইবে। যেমন একটি ক্ষুদ্র পাত্রস্থ জলে, সাগরের গভীরতা এবং উহার গাঢ় নীলবর্ণ দেখা যায় না, যদিও তাহার তিক্ততা অনুভব করা যায়, সেইরূপ একটি মানবকে নিৰ্ব্বাচন করিয়া লইলে সমস্ত মানবজাতির গাম্ভীৰ্য্য এবং সৌন্দৰ্য্য দেখা যায় না। সত্য যে, একটি মনুষ্যের মধ্যেও সৌন্দৰ্য আছে, এবং তাহার মধ্যে ঈশ্বরের জ্ঞান এবং করুণা দেখা যায় ; কিন্তু তাহাতে সমস্ত মনুষ্য জাতির পূর্ণধৰ্ম্ম লাভ করা যায় না। এই জন্য ধৰ্ম্মজগতে যাহারা পরিশ্রম করেন, তাহারা সমুদয় মানবজাতিকে একটি সামগ্ৰী বলিয়া দর্শন করেন ; এবং যাহাতে সমস্ত মনুষ্যজাতির কল্যাণ হয়, তাহার চিন্তাতে নিমগ্ন থাকেন। যেমন অর্ণবপোত সাগরবক্ষে পরিচালিত হইয়া কত অজানিত দেশ আবিষ্কার করে এবং কত রত্ন সংগ্রহ করে, তেমনই ধৰ্ম্মপ্রচারক আপনার প্রাণপোত ভাসাইয়া, মানবপ্রকৃতিরূপ সমুদ্রের নিগূঢ় স্থানে যে সকল রত্ন আছে, তাহ সংগ্রহ এবং যে সমস্ত দেশ অজানিত