পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভ্রান্ত শাস্ত্র । ষট্চত্বারিংশ মাঘোৎসব। প্রাতঃকাল, রবিবার, ১০ই মাঘ, ১৭৯৭ শক ; ২৩শে জানুয়ারি, ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দ । শাস্ত্রালোচনাতে মনুষ্যের প্রবৃত্তি। ঋষিরা শাস্ত্রালোচনা করিতেন। শাস্ত্র-গর্ভ-নিহিত মহারত্ব উত্তোলন করিয়া সাধকগণ কণ্ঠের হার করিয়া । রাখেন। শাস্ত্র ব্যাখ্যা করিবার জন্য ধৰ্ম্মমন্দির সকল প্রতিষ্ঠিত হয় । শাস্ত্রই ধৰ্ম্মের মূল। কতবিধ শাস্ত্র পৃথিবীতে। বেদ, বাইবেল, কোরাণ, গ্রন্থসাহেব, কেন্দ ইত্যাদি। ধৰ্ম্ম সাধন করিবার জন্য শাস্ত্রমধ্যে অনেক আদেশ রহিয়াছে, অতএব মনুষ্য শাস্ত্রকে অবলম্বন করিয়া চলে। শাস্ত্রের মূল কি ? শাস্ত্ৰকৰ্ত্ত ঈশ্বর, যে শাস্ত্র ঈশ্বরের অভিপ্রায় প্রকাশ না করে, তাহা শাস্ত্রই নহে। শাস্ত্রের মূল এক ঈশ্বর । শাস্ত্রের প্রকার দুই, লিখিত এবং অলিখিত । শাস্ত্রের উদ্দেশু ঈশ্বরের অভিপ্রায় প্রকাশ করা। স্থশাস্ত্র এবং সুসংবাদ এক। যদি লিখিত সমুদয় শাস্ত্র একত্র করা যায়, ব্রাহ্ম কোন বিশেষ শাস্ত্র অবলম্বন করিতে পারেন? লিখিত প্রায় প্রত্যেক শাস্ত্রেই যেমন একদিকে সত্য, তেমনি আর একদিকে মিথ্যা রহিয়াছে। অভ্রান্ত শাস্ত্র বলিয়া ব্রাহ্ম কি গ্রহণ করিতে পারেন ? যাহা দ্বারা পবিত্র দেবতার পবিত্র ইচ্ছা অবগত হওয়া যায়, তাহাই স্থশাস্ত্র । কিন্তু কোন পুরাতন শাস্ত্র দ্বারা আমাদের সম্পর্কে মঙ্গলময়ের বর্তমান ইচ্ছা কি তাহা জানা যায় না, সুতরাং পুরাতন শাস্ত্রের আলোক এখনকার সম্পর্কে যথেষ্ট হইতে পারে না। র্তাহার অভিপ্রায়ের অভ্রান্ত স্থসংবাদ লাভ: করিলে মন্থয্যের জীবন পরিবর্তিত হয়। প্রথমতঃ ঈশ্বর আছেন, এই বিষয়ে