পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভ্রান্ত শাস্ত্র । , , N)。 পার কি না। অনেক ধৰ্ম্মপ্রবর্তৃক এই কীটের মস্তকে পদাঘাত করিয়া ছেন। কিন্তু কিছুতেই এই কীট হইতে নিস্তার পাওয়া যায় না, বরং ইহার মৃত্যু হইতে আরও সহস্র কীট জন্মগ্রহণ করে ; যেমন শুনিয়াছি, রাক্ষসের এক বিন্দু রক্ত হইতে সহস্র রাক্ষস জন্মিয়াছিল। কিন্তু এই যে মানবপ্রকৃতি-নিহিত শুষ্কতা ও অভক্তি, মঙ্গলময়ের ইচ্ছা প্রকাশ ভিন্ন তাহা কেহ দূর করিতে পারে না । সেই শাস্ত্র চাই, বাহাতে বর্তমান সময়ে ঈশ্বরের অভিপ্রায় কি, তাহ অবগত হওয়া যায়। ঈশ্বরের বশবৰ্ত্তী হইলে, হৃদয়-প্রস্তরে সেই শাস্ত্র লিখিত হইবে। তাহারাই কেবল প্রচারক, আচাৰ্য্য, উপাচাৰ্য্য পদবীতে আরোহণ করিবে, যাহারা ঈশ্বরের বর্তমান অভিপ্রায় অবগত হইবে। অন্যেরা কেবল সেই অবস্থার উপযুক্ত হইবার জন্য শিক্ষা করিবে। আজ্ঞা কর প্রভে! কিসে তোমার ইচ্ছা জানা যায়, এই বলিয়া যখন ঈশ্বরসন্তান-কাতর প্রাণে র্তাহার দিকে তাকাইবে, তখন ঈশ্বরের ইচ্ছারূপ উজ্জ্বল কিরণ তাহার অন্তরে প্রকাশিত হইবে। জ্যোতিঃ কোথায় ? ঈশ্বরের অভিপ্রায়ে । ঐ শুভ্র বস্ত্র, ঐ তেজোময় মুকুট আমরা পরিতে চাই। ঐ ইচ্ছা যখন অবতীর্ণ হয়, মনুষের আত্মা অলৌকিক সৌন্দর্ঘ্য ধারণ করে। সেই ইচ্ছার সৌরভে সাধকের মন মুগ্ধ : হইয়া পড়ে, সেই ইচ্ছাই শুদ্ধ জ্যোতিঃ, তাহাই সার শাস্ত্র। অশব্দ ঈশ্বরের সেই অশব্দময় কথা, সেই গভীর ইচ্ছা কেমন করিয়া বুঝিব? সেই অশব্দ শব্দ না শুনিয়া কে যথার্থ ব্রাহ্ম হইতে পারে? আমি বলিলাম, ঐ জ্যোতিৰ্ম্ময় মুকুট আমরা চাই। যাহারা ঐ মুকুট পরিয়াছেন, যাহাদের মস্তকে ঈশ্বরেচ্ছারূপ উজ্জ্বল পবিত্র কিরণ প্রকাশিত হইয়াছে, তাহারা গভীর এবং অলৌকিক উপাসনার কল্লোলে পৃথিবীকে পুণ্যবতী করিতেছেন। আমি বলিলাম, আমরাও ঐ মুকুট চাই। অন্ধেরও ইচ্ছা হয়, স্বৰ্য দর্শন