পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধকারে আলোক। রবিবার, ৯ই আশ্বিন, ১৭৯৮ শক ; ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দ । সঙ্কেতপূর্ণ সংসার। মনুষ্য কতবার ইহার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে চেষ্ট্র করিল, কিন্তু প্রায় সকলেই ইহার অর্থ বুঝিতে অক্ষম হইল। যাহার বুঝিতে পারে তাহাদের বোধ কেমন নিগৃঢ়, যাহারা বুঝিতে পারে না তাহদের অজ্ঞানত কত ঘন। সকল সঙ্কেতের মধ্যে আলোক অন্ধকারের সঙ্কেত শ্রেষ্ঠ। যত প্রকার আন্তরিক শক্তি, জ্ঞান, মেধা প্রভৃতি আলোকের সঙ্গে উপমিত হয়। আলোকের ন্যায় জ্ঞানপ্রদ, সুখপ্রদ এমন আর কি আছে ? আলোক যেমন বস্তু প্রকাশ করে, এমন আর কে পারে? আলোকের পুনরাগমনে জীবনের পুনরাগমন। সমুদয়ের সঙ্গে এই আলোকের তুলনা । সম্পদ কি ? আলোক। যাহার ঘরে সম্পদ তাহার ঘরে কত আলোক জলে, তাহার চক্ষে কত জ্যোতি বাহির হয়। যেখানে সৌভাগ্য সম্পদ সেখানে কত হীরক, মুক্ত এবং স্বর্ণের চাকচিক্য । সম্পদের আলোক যেখানে নাই, সেখানে যদি আলোক জলে, তাহাতে অন্ধকার ঘনতর দেখায়। যেখানে বিপদ সেখানে অন্ধকার, সেখানে কোন স্ফূৰ্ত্তি দেখা যায় না। অন্ধকার সমুদয় ঢাকিল, আলোক সমুদয় প্রকাশ করিল। আমি বলি, ঠিক ইহার বিপরীত। আলোক সমুদয় ঢাকিয়া রাখে, অন্ধকার সমুদয় প্রকাশ করে! এক পৃথিবী স্বৰ্য্যদ্বারা প্রকাশিত হয়, আর আকাশের সমুদয় পৃথিবী আচ্ছাদিত হয়। স্বৰ্য যতক্ষণ অস্ত ন হইবে ততক্ষণ মনুষ্য মনে করিবে, এই স্বৰ্য ভিন্ন আর