পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তিতত্ত্ব । রবিবার ২১শে কাৰ্ত্তিক, ১৭৯৮ শক ; ৫ই নবেম্বর, ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দ। গভীর জল নদীর কোন স্থানে ? যেখানে শব্দ নাই, যেখানে আড়ম্বর নাই। যেখানে জলের মহাকোলাহল, সেখানে অতি অল্পদুর সেই জলের গভীরতা। আর যেখানে জলের অত্যন্ত গভীরতা, সেখানে জল স্থির ও পরিষ্কার। তেমনই যে সকল সত্য অতি গভীর, তাহ কোলাহলবিহীন। অতি পুরাতন, সরল এবং পরিষ্কার একটি সত্যের কথা আজ বলিতে চাই, সেইটি কি ? ঈশ্বর শক্তিরূপ। শক্তি দেবতা, শক্তি ব্ৰহ্মাণ্ডের স্রষ্ট এবং ধারণকৰ্ত্ত। যখন ঈশ্বরকে সৰ্ব্বশক্তিমান বলিলে, তখন কি বুঝিলে ? শক্তি দুই হয় না। শক্তি এক। কি আগুনের, কি জলের, কি বজের সমুদয়ের এক শক্তি। সকলের মূলে এক শক্তি। সেই এক শক্তি সহস্র মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া স্বষ্টিতে প্রকাশিত হয়। সেই শক্তি যতক্ষণ শরীরে আছেন, ততক্ষণ চক্ষু দেখিতেছে, কৰ্ণ শুনিতেছে, রক্ত চলিতেছে ইত্যাদি । আর এই প্রাণশক্তি শরীর হইতে কাড়িয়া লও, জলে জল, মৃত্তিকায় মৃত্তিক মিশিয়া যাইবে । যেমন নরদেহে শক্তি, তেমনই পশুদেহেও সেই শক্তি। যেমন চেতনে শক্তি, তেমন জড়ে শক্তি। আবার শক্তিতে শক্তিতে যোগ দেখ। কোথায় স্থৰ্য্য, আর কোথায় তোমার দেহ ; কিন্তু স্তুৰ্য্যের শক্তি তোমার দেহের শক্তির ভাবান্তর করিল। অগ্নির মধ্যে অঙ্গুলি রাখ, কিংবা জলের মধ্যে অঙ্গুলি রাখ, অগ্নির শক্তি ও জলের শক্তি তোমার অঙ্গুলির শক্তির ভাবান্তর করিবে। চন্দ্র তারার শক্তি নাই কে বলিল ? এইরূপ সমুদয় শক্তির মধ্যে পরস্পর যোগ রহি