পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ゲ উপদেশ বাহিরে অন্ধকার মৃত্যু। ধৰ্ম্মজীবন এই শক্তির অংশ। ততক্ষণ জ্ঞান, সত্য লাভ করি, এই শক্তির ভিতরে যতক্ষণ আছি। ততক্ষণ প্রেম কি বুঝিতে পারি, যতক্ষণ এই শক্তির মধ্যে আছি। ততক্ষণ অন্তরে পুণ্যতেজ থাকে, যতক্ষণ এই শক্তির বর্তমানত অনুভব করি। আমার জ্ঞান, আমার প্রেম, আমার পুণ্য সমস্ত এই শক্তির আবির্ভাবে। এই শক্তির অবৰ্ত্তমানে যত মিথ্যা দুৰ্ব্বলতা, অন্ধকার, অপ্রেম, পাপ, তাহা আমি। এই শক্তি অন্তৰ্হিত হইলে যাহ থাকে তাহাই আমি । অর্থাৎ আমি অপদার্থ এবং পাপরাশি, এই শক্তি হইতে বিচ্যুত। যতটুকু এই শক্তি ততটুকু প্রাণ, জ্ঞান, প্রেম, পুণ্য, আনন্দ, শান্তি। সমুদয় সংবস্তুর আধার এই শক্তি। ইহার মধ্যে বিচিত্র ভাব। শক্তি বলিলে কত বুঝায়। শক্তি বলিলে জীবন, প্রেম, সৌন্দৰ্য সকলই বুঝায়। অতএব যখন ঈশ্বরকে সৰ্ব্বশক্তিমান বলি তখন তাহার মধ্যে গভীর অতলস্পর্শ প্রাণ, জ্ঞান, প্রেম, পুণ্য, আনন্দ, শান্তি, সৌন্দৰ্য সকলই আছে বুঝিতে হইবে। অতএব এই যে শক্তি ঈশ্বর, এই শক্তি শাস্ত্র হইতে এই শিক্ষা লাভ করিলাম যে, আমার প্রাণ এবং রক্ত সঞ্চালন, ঈশ্বরের বর্তমানতা, ঈশ্বরের আবির্ভাবের ফল । আমার জীবন এই শক্তিরূপী ঈশ্বরের আন্তরিক বর্তমানত। অতএব অহঙ্কার, স্বার্থ পরিত্যাগ করিয়া এই শক্তিকে ডাকিয় লও। র্তাহার জ্ঞানের ক্ষমতাতে অজ্ঞানত থাকিবে না, তাহার প্রেমের আবির্ভাবে অপ্রেম দূর হইবে, তাহার পবিত্র বর্তমানতার প্রভাবে পাপ অপবিত্রত চলিয়া বাইবে। এমনি গভীর এই শক্তিতত্ত্ব। অতএব সৰ্ব্বশক্তিমানের শক্তিতেই যেন আমরা জীবিত থাকি, কার্য্য কৰি এক এই শক্তির উপরেই যেন আমাদের ইহকাল পরকাল সমৰ্পিত হয় " i