পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t to জলের স্যায়, সুবর্ণহারে সুবর্ণের ন্যায় জীব ও জগতের অন্তর- “ বাহির পরিপূর্ণ করিয়া এক অদ্বিতীয় সচ্চিংমুখাত্মক পরমেশ্বর বিদ্যমান রহিয়াছেন—এই দৃষ্টি, এই জ্ঞানের পরিপুষ্টি সাধন কর । ঈশ্বরব্যতীত যখন কোন বস্তু নাই, বিশ্বাকারে যখন এক পরমাত্মা পরমেশ্বরই প্রকাশ পাইতেছেন তখন ধনাদি কল্পিত পদার্থ বিষয়ে আকাঙ্ক্ষার স্থান কোথায়? অর্থাৎ বুদ্ধি একমাত্র পৰমাত্মবিষয়িণীষ্ট হইবে—পরমাত্মাতিরিক্ত অন্য কোন বিষয়িণী হইবে না । অতএব প্রথম মন্ত্র সন্ন্যাসিগণের নিমিত্তই উপদিষ্ট হইয়াছে। মন্ত্রে আছে "ঈশা বাস্তম্” পরমেশ্বরদ্বারা আচ্ছাদন করিতে হইবে। পরমেশ্বরের সাক্ষাৎকার করিতে হইলে নাম-রূপ না দেখিয়া প্রতি মামে প্রতিরূপে রূপায়িত, লীলায়িত একমাত্র পরমেশ্বরকেই দেখিতে হইবে । সাধকের সাধনাবস্থায় এই উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে। ভোজন করিয়া তবে ত ঈশ্বরকে ভজন করিতে হইবে । ভোজন করিতে গেলে ত সেই পরিচ্ছিন্ন দেহাত্মবুদ্ধি আসিবে, সুতরাং সেই সময়ে ঈশ্বর বিষয়িণী বুদ্ধি কি প্রকারে বিদ্যমান থাকিতে পারে ? এই আশঙ্কা নিরসনের জন্য ঋষি বলিলেন “তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথাঃ মা গৃধঃ কস্যস্বিদ্ধনম্।” তেন মানে তাহার দ্বারা অর্থাৎ ঈশ্বর কর্তৃক, তাক্তেন মানে দত্তেন অর্থাৎ পরধান অভিলাষী না হইয়া সৎপথে থাকিয়া যাহা কিছু প্রাপ্ত হও তাহাই ঈশ্বরকর্তৃক প্রদত্ত এইরূপ ঈশ্বরবিষয়িণী বুদ্ধি লইয়। কর্তৃত্বাভিমান পরিত্যাগ পূর্বক ভোগ করবে। সুখই আমুক আর দুঃখই $ 2