পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কঠোপনিষৎ >>t ব্ৰহ্মবৎ হইতে ইচ্ছুক, মুকু সাধক যদি তাহার সাধনার কোন এক বিশেষ স্তরের আপেক্ষিক আনন্দ, জ্ঞান ও শক্তিতে আবদ্ধ থাকেন তাহা হইলে সেই অবিবেকী সাধকের সেই স্তর বিশেষের আনন্দ, জ্ঞান ও শক্তি ক্রমশ নষ্ট হইয়া যায় এবং ব্রহ্মানন্দও লাভ হয় না। কিন্তু যে সাধক কেবল আত্মকাম, যিনি সাধনার কোন স্তরবিশেষে শক্তির উৎকর্ষ, জ্ঞানের উৎকর্ষ এবং রসাস্বাদে আসক্ত না হইয়া আত্মতত্ত্ব সাক্ষাৎকার করিতে সতত উন্মুখ, সেই সাধকের নিম্ন প্রকৃতি পৰ্য্যন্ত তাহার বশীভূত হইয়া আত্মাভিমুখী হয়। শ্রুতি সেইজন্ত উপদেশ করিতেছেন— তিস্রোরাত্রীর্যদবাৎসীগৃহেমে অনশন ব্রহ্মন অতিথি নমস্যঃ । নমস্তে হস্তু ব্ৰহ্মন স্বন্তি মে হস্তু তস্মাৎ প্রতি ত্রীন বরান বৃনীন্ধ ॥৮ রামীণ এই পদটা অজ্ঞানের জোতক। প্রকৃষ্ণ ভগবান গীতার বলিয়াছেন—যা নিশা সৰ্ব্বভূতানাং তস্তাম্ জাগৰ্ত্তি সংযমী, যন্তাং জাগ্ৰতি ভূতানি স নিশা পশুতো মুনেঃ ” অজ্ঞানরূপ নিদ্রা হইতে প্রবুদ্ধ আত্মাভিমুখী সংযমী ব্রহ্মবিদ যে ব্ৰহ্মানন্দে অহরহ জাগ্রত থাকেন সেই ব্ৰহ্মানন্দস্থিত প্রজ্ঞ ব্যতীত সমুদয় প্রাণিগণের পক্ষে নিশাস্বরূপ এবং যে সব অজ্ঞ পুরুষ “আমি ও আমার এই অভিমানে অভিভূত হইয়া অবিদ্যাতে জাগিয়া থাকেন সেই অবিষ্ঠা আত্মরতি, আত্মক্রীড়, তত্ত্বদশী মুনির পক্ষে নিশা । জাগ্রৎ, স্বপ্ন ও মুম্বুপ্তি প্রাণীগণের এই তিন অবস্থা অজ্ঞান বা অবিস্তার কার্য্য । অজ্ঞান বা অবিদ্যার এই তিন অবস্থা স্বীয় স্বরূপ, পরমাননাকে ঢাকিয়া রাখে বলিয়া উহা রাত্রি বা নিশাস্বরূপ । অবিবেকী মূঢ়গণ এই অজ্ঞানরূপ নিশায় জাগিয়া থাকেন অর্থীং জাগ্ৰং,