পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

का?ों*मिद९ ט לל স্বপ্ন, কুমুপ্তির ভোগ্য বিষয় কর্তৃত্ব ও ভোক্ত বুদ্ধিতে ভোগ করিয়া থাকেন। কিন্তু বিবেক-বৈরাগ্যবান আত্মকাম সাৰক কেবল মাত্র পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিয়া বহির্বাসন পরিত্যাগ পূর্বক সৰ্ব্বদা স্বীয় স্বরূপ পরমেশ্বরের মনন করিতে থাকেন। তখন তিনি সাধনার উন্নততর স্তরসমূহের সত্য অনুভব করতে থাকেন এবং তাহার পূর্বের ভোগাসক্ত নিম্ন প্রকৃতি সেই সত্য স্বীকার করিয়া লয়, তাহার মন আর ংকল্প বিকল্প উঠাইয়া চিত্তকে বিচলিত করিয়া পরমেশ্বর হইতে র্তাহাকে আকর্ষণ করিয়া পুনরায় সংসারাসক্ত করিয়া তোলে না। তাহার মন আর সম্পূর্ণরূপে শান্ত সংকল্প’ ও ‘সুমনা’ অর্থাৎ একাগ্র হয়, সমস্ত দীনতা, সমস্ত দুৰ্ব্বলতা পরিত্যাগ করিয়৷ সাধক তখন আত্মবলে বলীয়ান হইয়া উঠিতে থাকেন। তৎপরে সাধকের স্ব পাভিমুখী শোধ্যমান চিত্তে অন্তঃজ্যোতিঃ বা অগ্নি বা ব্রহ্মবিদ্যারূপিণী, অখণ্ড, একরস চৈতন্তময়ী আনন্দময়ী পরাশক্তির উন্মেষ হয় । সাধক অহোরাত্র একবৎসর শ্রদ্ধ। ও ভক্তির সহিত এই অগ্নি বা চৈতন্তজ্যোতিকে আত্মরূপে মনন করিতে করিতে ক্রমে ক্রমে বিরাট, হিরণ্যগর্ভ ও ঈশ্বর পদ প্রাপ্ত হন। আমাদের জগৎ এবং তদ্বিষয়ক যত কিছু জ্ঞান সমস্তই জাগ্ৰং, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি এই অবস্থাত্রয়ের অন্তর্গত। এই তিন অবস্থা আত্মাব স্বরূপ আবৃত করিয়া রাথিয়াছে সেইজন্য এই তিন অবস্থা “ত্রিস্রে রাষ্ট্রী",তিনটী তমোময়ী রাত্রিরূপা । বৈরাগ্যবান আয়ুকাম সাধক যখন এই অবস্থাত্রয়ের ভোগ্য পদার্থ সমূহে বিমুখ হইয়া অহোরাত্র আত্মচিন্তনে নিরত থাকেন তখন তাহার শরীরদ্বয় ব্রাহ্মী হইতে থাকে অর্থাৎ আনন্দস্বরূপ ঈশ্বরে সাক্ষাৎকার করিবার যোগ্যতা লাভ করে। তাহার সংকল্প বিকল্লাত্মক মন শান্ত সংকল্প’ ও ‘সুমনা’ হয়, সমস্ত দীনতা পরিত্যাগ করিয়া বীতময়া হয় এবং অনিদ্র অস্বপ্ন হইয়া জাগ্ৰং, স্বপ্ন, কুযুপ্তি অবস্থাত্রয়ে কেবল সচ্চিৎমুখাত্মক আত্মস্বরূপাভিমুখী হইয়া অবস্থান