পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o lio/o দ্বিতীয় মন্ত্রের ঐরূপ ব্যাখ্যা করেন তাহার বলেন, যে সব গৃহী বেদবিহিত কর্ম করেন র্তাহারা শুভ কর্ম করেন বলিয়া অশুভ কর্মে লিপ্ত হন না । কিন্তু এরূপ ভাবে দ্বিতীয় মন্ত্রট ব্যাখ্যা করিলে প্রথম মন্ত্রে কথিত উপদেশের সহিত দ্বিতীয় মন্ত্রের কোন সঙ্গতি—কোন সামঞ্জস্য থাকে না । অশুভ কর্মের স্যায় শুভ কর্মও বন্ধনের কারণ হয়। কর্মে অভিমানই বন্ধনের কারণ । যদি কর্তৃত্ব বুদ্ধি ও ভোক্তৃত্ববুদ্ধি পরিত্যাগপূর্বক নিষ্কামভাবে বেদবিহিত যজ্ঞাদি কর্ম কিংবা স্বাভাবিক কর্মও করা যায় তাহা হইলেও কর্মে বুদ্ধি লিপ্ত না হওয়া হেতু ঐ সব কর্ম বন্ধনের কারণ হইবে না। “ঈশ বাস্যম” মানে সমস্তই পরমেশ্বরপরিব্যাপ্ত এইরূপ মনোবৃত্তি করিতে হইবে। “যৎ কিঞ্চ জগতাং জগৎ” জগৎ এবং জগতে যা কিছু পদার্থ আছে তৎসমস্তই ঈশ্বর-পরিব্যাপ্ত এইরূপ ভাবিতে হইবে । কেবল যে বাহিরের নানাকপাত্মক দৃশুসমূহ ঈশ্বরব্যাপ্ত ভাবিতে হইবে তাহা নহে ; স্বীয় স্থল দেহ, পঞ্চপ্রাণ, দশ ইম্পিয়, মন বুদ্ধি চিত্ত অহঙ্কার অর্থাৎ পঞ্চকোষ বা দেহত্রয় সবই আকাশসদৃশ অখণ্ড, নিরবয়ব, নির্বিশেষ, সব ত্র পরিপূর্ণ সচ্চিদানন্দ পরমেশ্বরপরিব্যাপ্ত এই মনোবৃত্তি সতত করিতে হইবে । সুতরাং মন সর্বদ ঈশ্বর ভাবনায় ভাবিত থাকায় বিহিত-নিষিদ্ধ কর্মসমূহের কৰ্ত্তা বিজ্ঞানাত্মা বুদ্ধি কিংবা ভোক্তা সাভাস অহংকারে অভিমান করে না। ঈশ্বরাপিতচিত্ত সাধক ঈশ্বরাপণ বুদ্ধিতে কর্ম করিলে সেই কর্মে কীৰ্ত্তত্ববুদ্ধি ও ভোক্তৃত্ববুদ্ধি না থাকায় সেই কর্মে তিনি