পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. কঠোপনিষং sto জোঁজি, ৰোজ্যি বাঘ, ইক্রোজ্যোতি জ্যোতিরিক্স স্বাহা" এই মন্ত্ৰে ঋষি যে চৈতন্তস্বরূপ পরমেশ্বরের নিকট হোম বা আন্ম নিবেদন করিতেন সেই চৈতন্তজ্যোতি: পরাশক্তি বা ব্রহ্মবিদ্যাই অগ্নি । যম এই অগ্নিকে “নাচিকেত অগ্নি’ বলিয়াছেন। নচিকেত মানে অকামময়, নিষ্কাম আত্মকাম । সৰ্ব্ববিধ ঐহিক এবং পারলৌকিক কামনা হইতে সম্পূর্ণ বিমুক্ত, বিবেক বৈরাগ্যবান আত্মকাম সাধকের বিশুদ্ধচিত্তে এই অগ্নির সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি হয়। এই অগ্নি কেবল পরমানন্দকে বিষয় করে বলিয়া ইহা সাধককে পরতত্ত্ব সাক্ষাৎকার করাইয়া দেয় । এই অগ্নিকে শব্দবতা বলিয়াছেন । শুদ্ধচিত্তে চৈতন্য জ্যোতিঃরূপ অগ্নির অভিব্যক্তি হইলে ক্রমে ক্রমে আনন্দের অনুভূতি হইতে থাকে এবং ম এর ন্যায় ধ্বনি উখিত হয় । এই ধ্বনিকে অনাহত ধ্বনি বা কৃষ্ণের বংশীরব নামে অভিহিত করা হয়। এই ধ্বনিতে চিত্ত লীন হইয়া গেলে পরনানন্দের সাক্ষাৎ উপলব্ধি হয় । অগ্নিই এই আনন্দময় ধ্বনি সাধকচিত্তে জাগাইয়া দেন । এই জন্য অগ্নিকে শব্ববতী বলা হয়। অগ্নিকে ‘মালা’ বলা হইয়াছে। এই চৈতন্যজ্যোতি অন্তঃশরীরে অভিব্যক্ত হইলে স্বগ্ন শরীরস্থিত ৭টা পদ্ম প্রস্ফুটিত হয়। এই সাতটা পদ্ম পরাশক্তির বিশেষ বিশেষ শক্তি কেন্দ্র, এই পদ্মগুলি প্রস্ফুটিত হইলে খুব স্বল্প চরাচর বিশ্বের শক্তি আয়ত্বে আসে ৷ সৰ্ব্বজ্ঞত্ব, সৰ্ব্ববিত্ত্ব, সৰ্ব্বশক্তিমত্ব, বিশ্বানন্দ সাধকে অভিব্যক্ত হয়। স্বগ্ন শরীরের উক্ত পদ্মগুলির অনুরূপ নাড়ীচক্র স্থল শরীরে বিদ্যমান আছে। উক্ত পদ্মগুলি অগ্নি বা চৈতন্যজ্যোতিতে উদ্ভাসিত হইয়া মালার স্যায় দেখায়। ঐ পদ্মগুলির বর্ণ বিভিন্ন বলিয়া ঐ মালাও অনেকরুপা হইয়া থাকে । কিন্তু ঐ অগ্নি বা চৈতন্যজ্যোতি: প্রধাণতঃ রক্তবর্ণ, শ্বেতবর্ণ ও নীলবর্ণে প্রতিভাত হইয়া পুরে খামবর্ণে স্থিত হয়। রক্তবর্ণ অনুরাগের, শ্বেতবর্ণ পবিত্রতার এবং নীল, খাম, সবুজ কৃষ্ণবর্ণ আনন্দের দ্যোতক। পীতবর্ণজ্ঞানের \