পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه الهالا ছয়ট মন্ত্ৰে উপদিষ্ট হইয়াছে। আচার্য্যের নিকট কিংবা স্বয়ং স্বীয় তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দ্বারা আত্মতত্ত্ব শ্রবণ বা অধ্যয়ন করিলে আত্মতত্ত্ববিষয়ক বাক্যার্থের জ্ঞান হইতে পারে, শাস্ত্রব্যাখ্যাণ কৌশল অবগত হইতে পারা যায় ; কিন্তু বস্তুজ্ঞান কখনও হয় না। আত্মতত্ত্ব কখনও সাক্ষাৎ উপলব্ধ হয় না । সেইজন্য ঋষি বিদ্যা ও অবিদ্য। উভয়কেই জানিতে উপদেশ করিয়াছেন। মুণ্ডক উপনিষদেও বলা হইয়াছে “দ্ধে বিদ্যে বেদিতব্যে পর চাপরা চ৷” ব্রহ্মবিদ্যা ব্যতীত অপর সব বিদ্যাই অপর বা অবিদ্যা । নিষ্কাম কর্ম, অভেদে উপাসন, “অহং ব্রহ্মাস্মি তত্ত্বমসি প্রভৃতি মহাবাক্য হইতে উখিত যে অখণ্ড মনোবৃত্তি উহাও অবিদ্যার অন্তর্গত ; সুতরাং বিদ্যা ও অবিদ্যার-সমুচ্চয় কেন হইবে না ? বিদ্যার দ্বার সচ্চিদানন্দস্বরূপ প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ বিদ্যার উদয় হইলে আত্মার যথার্থস্বরূপ প্রকাশ পায়। ব্রহ্মাত্মজ্ঞানের সহিত কৰ্ম্ম বা অন্য কাহারও সম্বন্ধ থাকে না, কিন্তু ব্ৰহ্মাত্মজ্ঞানের উপায় বিদ্যার সহিত সহকারীরূপে অবিদ্যার সহযোগ থাকিতে পারিবে ন৷ কেন ? লোকে পাছে বেদবিহিত সকাম বা নিষ্কাম কৰ্ম্মের, সকাম বা নিষ্কাম উপাসনার দ্বার। চিত্ত শুদ্ধ না করিয়া মলিন চিত্ত লইয়া অীয়বিষয়ক উপদেশ শ্রবণ ও আত্মতত্ত্বে কেবল তর্কমূলক বিচারে রত থাকিয় ভাবে যে আমি আত্মজ্ঞানী ব্ৰহ্মজ্ঞানী হইয়াছি সেইজন্য শ্রুতি নবম হইতে চতুর্দশ মন্ত্রে নিষ্কাম কৰ্ম্ম ও উপাসনার সহিত ব্রহ্মবিদ্যার বিচার ও মনন করিতে উপদেশ দিয়াছেন। পঞ্চদশ হইতে অষ্টাদশ্ব মন্ত্র পর্যন্ত