পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনোপনিষৎ ●> মনগ্রাণে অর্থাৎ শরীরত্ৰয়ৰূপ পঞ্চকোষে আত্মবুদ্ধি পরিত্যাগ করিয়া সৰ্বপ্রাণি প্রত্যক্ষ এই শরীরাভিমান হইতে ব্যাবৃত্ত হইয় অর্থাৎ দেহাভিমান পরিত্যাগপূৰ্ব্বক অমরত্ব প্রাপ্ত হন অর্থাৎ স্বীয় সচ্চিদানন্দস্বরূপে স্থিতিলাভ করেন, কিংবা দেহত্যাগের পর বিদেহমুক্তি প্রাপ্ত । श्नं ||२|| ন তত্র চক্ষুগচ্ছতি ন বাক্ গচ্ছতি নো মনঃ । ন বিদ্মো ন বিজানীমে যথৈতদনুশিষ্যাৎ ॥৩ তত্ৰ ( দেহেন্দ্রিয় মনপ্রাণের আত্মভূত স্বপ্রকাশ চৈতন্তস্বরূপ ব্ৰহ্মকে ) চক্ষু: ( দর্শণেন্দ্রিয় ) ন গচ্ছতি (বিষয় করিতে পারে না, কারণ সচ্চিৎ ব্রহ্মের সত্তায় ও চৈতন্তে দর্শণেন্দ্রিয় সত্তাবান ও চৈতন্যময় হইয়া রূপকে প্রকাশ করিয়া থাকে। দেছেন্দ্রিয় মনপ্রাণের ব্রহ্মাতিরিক্ত কোন স্বতন্ত্র সন্তাও প্রকাশ নাই। ব্ৰহ্মাই উহাদের আত্মা বা স্বরূপ । সুতরাং চক্ষু স্বীয় স্বরূপ রূপাবিহীন চিন্মাত্রস্বরূপ ব্ৰহ্মকে প্রকাশ করিতে পারে না । সেইরূপ ) বাকু ন গচ্ছতি ( বাক্যও তাহাকে প্রকাশ করিতে অসমর্থ অর্থাৎ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয় ব্রহ্মকে প্রকাশ করিতে পারে না । ) নো মনঃ (মনও তাহাকে বিষয় করিতে পারে না। ব্রহ্ম বাক্যও মনের অগোচর। চক্ষু স্বর্গাদিলেক দেখিতে পায় না, কিন্তু বাক্ তাহাকে বিষয় করিতে পারে। কিন্তু জ্ঞানেন্দ্রিয় ও কর্মেন্দ্রিয় র্যাহাকে বিষয় করিতে পারে না, মন তাহাকে বিষয় করিতে পারে এইরূপ যদি কেহ বলেন তাহ হইলে তাহার সেই শঙ্কা দূর করিবার জন্ত শ্রতি বলিতেছেন "যে মনও তাহাকে বিষয় করিতে পারে না । ইন্দ্রিয় ও মনের দ্বারাই " 'ফখৰু বস্তু সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ হয় এবং ব্রহ্ম যখন ইভ্রিমনের আত্মভূত বলিয়া ১ীদের অগোচর তখন) ন বিস্ত; (আমরা শ্রোত্রের শ্রাত্র, মনের \!