পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনোপনিষৎ e ৬৯ পাইতে অভিলাষী, সুতরাং সে কি প্রকারে ব্রহ্ম হইতে পারে ? আত্মা বা'আমি ব্রহ্ম ইহা সৰ্ব্বলোকপ্রত্যয় বিরুদ্ধ। আত্মা বা আমি হুইতেছি কৰ্ত্তা, ভোক্তা, জ্ঞাতা, অল্পজ্ঞ, অল্পশক্তিমান, সুধী, দুঃখী, জন্মমরণশীল সুতরাং আমি কি প্রকারে ব্রহ্ম হইতে পারি ? আত্মবিষয়ক এই সংশয় দূর করিতে ইলে ‘আমি স্বরূপত: কে তাহাই বিচার করিয়া দেখিতে হইবে। আমার যত কিছু জ্ঞান, আমার নিখিল জগং সে সমস্তই জাগ্ৰং, স্বপ্ন ও সুষুপ্তি এই অবস্থাত্রয়ের অন্তর্গত । জাগ্ৰং অবস্থায় আমি নিজেকে স্থলদে বলিয়া মনে করি এবং স্থলদেহের ধর্মসমূহ বাল্য, যৌবন, বুদ্ধত্ব, রুশ, স্থল, বাধি, অন্ধ, কুন্ত, খঞ্জ ইত্যাদি দেহের ধর্মসমূহই নিজেতে আরোপ করিয়া নিজেকে বালক, যুবা, বৃদ্ধ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু, শূদ্র, ধনী নির্ধন, স্বী ছ:ী ইত্যাদি মনে করিয়া থাকি। স্বপ্রাবস্থায় স্থলদেহ শ্যার উপর পাড়া থাকে, কর্মেন্দ্রি, জ্ঞানেক্রিয় স্থল বিষয়ক স্ব স্ব ব্যাপার হইতে বিরত হয়, কিন্তু স্বপ্রাবস্থায় জাগ্রত অবস্থার জগতের ন্তায় আর একটি জগৎ আমার সম্মুখে ভাসিতে থাকে, আমিও নিজেকে আর একটি দেন্ত বলিয়া মনে করি এরং জাগ্রং অবস্থার ন্যায় দেহের ধর্ম নিজেতে আরোপ করিয়া সেই সেই ধর্মযুক্ত বলিয়া নিজেকে মনে করি। স্বপ্লাবস্থায় আমি সূক্ষ্মদেহ হই এবং মন: কল্পিত স্বল্পকালীন জগতের সূক্ষ্ম বিষয়সমূহ ভোগ করিয়া সুখী দুঃখী হইয়া থাকি। স্বপ্লাবস্থায় বাসনা বা সস্থার পূর্ণ জড় মুন চৈতন্য জ্যোতিতে চৈতন্যময় ইয়া বাসনারূপ স্বল্পকালীন জগৎ রচনা করিয়া থাকে। আবার যখন সুষুপ্তি অবস্থা আসে তখন জাগ্রৎকালীন এবং স্বল্পকালীন জগৎ তিরোহিত হইয়া যায় । তখন কর্মেস্ক্রিয়, জ্ঞানেস্ক্রিয় মন সব চুপ করে ; সেই স্বযুপ্ত অবস্থার স্মরণ আমার জাগ্ৰং অবস্থায় ইয়া থাকে। আমার স্মরণ হয় যে এতক্ষণ আমি মুখে নিদ্রা গিয়াছিলাম, কিছুই জানিতে শুরি নাই। অন্তর্ভূত বিষয়ের জ্ঞানকে স্থতিজ্ঞান বলে, আর অনুভূত হওয়ার মানে