পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেনোপনিষৎ ইঞ্জিয়গ্রাহ প্রমেয়রূপে জ্ঞাত হন, সেই অবিবেকী পুরুষ প্রমাতৃ প্রমেয়াদি ত্ৰিবিধ ভেদরহিত ব্ৰহ্মকে সম্যক্ জানিতে পারেন না ; যেহেতু বিৰিৰ প্রমাতৃ-প্রমাণ-প্রমোদিভেদ জ্ঞান বিশিষ্ট অবিবেকী ব্যক্তিদিগের নিকট অবিদিত থাকিয়া যান ; কিন্তু প্রমাতৃ-প্রমেয় প্রমাণাদি ভেদজ্ঞানরহিত ব্রহ্মবিদগণের নিকটেই ব্ৰহ্ম সম্যক বিদিত হইয় থাকেন। অর্থাৎ সেই সমাকদর্শী ব্রহ্মবিদগণ ব্রহ্মকে আত্মরূপে সাক্ষাং উপলব্ধি করেন ॥৩ ব্ৰহ্মকে মনবুদ্ধি ইন্দ্রিয়ের বিষয়ক্রপে, বেদ্যরূপে যখন জানা যায় না, তখন সেই আবেদ্য ব্রহ্মকে যে প্রকারে উপলদ্ধি করিতে পারা যায় তাহাই এক্ষণে উপদিষ্ট হইতেছে— প্রতিবোধ, বিদিতং মতমস্তত্বং হি বিন্দতে । আত্মনা বিন্দতেবীৰ্য্যং বিদ্যয় বিন্দতেহমৃতমং ॥৪ পূৰ্ব্ব শ্লোকে বলা হইয়াছে ব্রহ্ম বিজ্ঞাত অবিজানতা’ অর্থাং যাহারা কিছুই জানেন না তাহারাই ব্ৰহ্মকে জানেন। ইঙ্গ যদি সত্য হইত তাহা হইলে মল্লযু স্বযুপ্তি ও মুচ্ছাদিতে যখন কিছুই জানিতে পারে না, তখন সুষুপ্তি ও মূর্ছাদিতে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিয়া কৃতকৃত্য হইয়। যাইত। পাছে কেহ এইরূপ মনে করেন সেই জন্য শ্রুতি বলিতেছেন – - প্রতিবোধবিদিতম্ ( প্রত্যেক বুদ্ধিবৃত্তিজ্ঞানে ব্রহ্ম বিদিত হন। বিষয়াকারে বুদ্ধিরপরিণামসমূহ জড় হইলেও অগ্নিতপ্ত লোছ পিণ্ডের ন্যায় চৈতন্যব্যাপ্ত হেতু জ্ঞানরূপে প্রতিভাত হইয়া থাকে ; এই হেতু বৃত্তিজ্ঞান অর্থাৎ বৌদ্ধ প্রত্যয়গুলিকেও আমরা বোধ’ শৰে অভিহিত করি। চৈতন্ত এক ও অখণ্ড ; এই চৈতন্যই সমস্ত বৌদ্ধ প্রত্যয়ের প্রকাশক । সুতরাং প্রতিবোধবিদিতং’ মানে প্রত্যেক বৃত্ত্বিজ্ঞানে বুদ্ধিবৃত্তির সাক্ষীরূপে অবগত ব্ৰহ্ম ) মতং ( প্রত্যগাত্মরূপে সাক্ষাৎ উপলব্ধ হন)