পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপবাস।

ভ্রমণান্তে মিতাহার করিলে, তুষ্টি, পুষ্টি, ক্ষুন্নিবৃত্তি ও বলবৃদ্ধি সহজে ও সুখে সম্পাদিত হয়। অতএব সাধারণতঃ কমকম খাবে, আর মাঝে মাঝে উপবাস করিবে। ইহাতে যদি শরীর সুস্থ না হয়, উপবাসী, care of Editor, Hindu Patrika, ঠিকানায় পত্র লিখিবে, আমি বিনাপয়সায় তোমার স্বাস্থ্যের বিধান করিয়া দিব। বার বার বলি, উপবাসে কোন ভয় নাই। উপবাস কর, Malaria, Cholera, Small pox, Plague, Headache, Rheumatism, Gout, প্রভৃতি কোন রগের ভয় থাকিবে না। উপবাস ভয়ের কারণ নয়, বরং অভয়েরই কারণ। উপবাস রোগীর আশ্রয়, ভোগীর রক্ষা-কবচ, যোগীর সাধন-সহায়। আমাদের শরীরের জন্য যতটুকু দরকার, তাহার অতিরিক্ত খাইলেই সেগুলি পেটে গিয়া পচে এবং সমস্ত শরীর সেই অজীর্ণ-রসোদ্ভূত বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা আক্রান্ত হয়। মল-মূত্র দ্বারা যদি ঐ বিষাক্ত পদার্থগুলি বাহির না হইতে পারে, তাহ হইলেই আমরা কোন না কোন কঠিন ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হই। সাধারণতঃ যাহার যে যন্ত্র গুলি দুর্ব্বল থাকে, ঐ বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা সেই যন্ত্রগুলিই অধিক অভিভূত হয় এবং আমরা সেই যন্ত্রের ব্যাধি-গ্রস্ত হই। ঐ বিষাক্ত পদার্থ যন্ত্রগুলিকে নিস্তেজ করিয়া ফেলে, শোণিত-প্রবাহিনী শিরাগুলিকে দুষ্টরসে রুদ্ধ করিয়া ফেলে। শুদ্ধ রক্তের সঞ্চালন হয় না। যাহা সঞ্চালিত হয়, সে দূষিত রক্ত। সুতরাং সমস্ত শরীর বিষে জর্জরিত হয়। মানুষ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। সে এক দিন দুই