পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
উপবাস।

দিনের অনিয়মে নয়। বিধাতা আমাদিগকে এমনি করিয়া গঠিত করিয়াছেন যে, সামান্য সামান্য অনিয়ম করিলে, যন্ত্র গুলি নিজে নিজেই স্ববলে তাহার প্রতিকার করিয়। লয়; কিন্তু বেচারারা যখন আর পারে না, ল’ড়ে পিটে হয়রাণ হয়, তখন হা’র মানিয়া বসে, আর আমরা ব্যাধিগ্রস্ত হই।

 শরীর রোগগ্রস্ত ও দুর্ব্বল হইলে, তখন বাহিরের শত্রুও আসিয়া সহজে আমাদিগকে অভিভূত করে। দুর্ব্বল শরীরেই, Pnumoniea, Tubercolosis, Typhoid fever প্রভৃতি রোগ-বিষ সহজে অনিষ্ট করিতে পারে। “শক্তের ভক্ত, নরমের গরম” এ প্রবাদ এখানেও প্রমাণিত হয়। রোগ আমাদের আত্মদোষেরই স্বেচ্ছা-গৃহীত দণ্ড। শাস্ত্র বলেন—

“রোগ-শোক-পরিতাপ-বন্ধন-ব্যসনানি চ।
আত্মাপরাধ বৃক্ষস্য ফলান্যেতানি দেহিনাম্‌॥”

 রোগ, গোক, পরিতাপ, বন্ধন ও ব্যসন—আমাদেরই নিজ-দোষ-রূপ বৃক্ষের ফল। উপবাস এই রোগ-রূপ বিষ ফলের বৃক্ষের অত্যাহার-রূপ আত্মদোষ-বীজের ধ্বংস-সাধক; সুতরাং রোগাক্রমণে আত্মরক্ষার এক প্রধান উপায়ই এই উপবাস।

 উপবাস আরম্ভ করিলেই, যখন ক্ষুধার উদ্রেক হয়, তখন না খাইলেই আমাদের পাকস্থলীর secretions বদ্ধ হয়, ইহাকেই মোটামুটি কথায় আমরা ‘পিত্ত পড়া’ বলি। ক্ষুধায় secretions বেশী হয়, তার পর না খাহলে, উহারা