পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
উপবাস।

পরিতর্পণই আমাদের ব্যাধিসঙ্কুলতা ও অল্পায়ুতার প্রধান নিদান। পাকস্থলীতে যে পরিমান আহার ধরে, তাঁহার অর্দ্ধেক খাওয়াই যোগশাস্ত্রের ব্যবস্থা। চিকিৎসাশাস্ত্রেও তাহাই বলে, যথা,—

“ভোজ্যেন পুরয়েদর্দ্ধং পাদমেকন্তু বারিণা।
মরুতশ্চালনার্থঞ্চ চতুর্থমবশেষয়েৎ॥”

 অর্থাৎ পাকস্থলীর অৰ্দ্ধ-ভাগ ভোজ্যে ও সিকি ভাগ জলে পূর্ণ করিবে, ৪র্থ সিকি ভাগ বায়ু চলাচলার্থ শূন্য রাখিবে। তবেই দেখ, শাস্ত্র মতে ঠিক “আধপেটা” আহারগ্রহণই স্বাস্থ্যকর। মোট কথা, ভাতে-জলে বারো আনার বেশী না হয়, এই হিসাবে খাইবে। আর বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করিবে, বিশুদ্ধ জল পান করিবে, লঘু ও পুষ্টিকর আহার করিবে; সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন এবং অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও দুই একাদশীতে[১] উপবাস করিবে; দেখিবে, তোমার কোন রোগ থাকিবে না।

 যদি বলবান হইতে চাও, নিয়মিত উপবাস কর; যদি অর্থ বাঁচাইতে চাও, উপবাস কর; যদি ধর্ম্ম অর্জন


  1. শাস্ত্র বলেন—
     “অন্নমাশ্রিত্য পাপানি তিষ্ঠন্তি হরিবাসরে।”
     হরিবাসর অর্থাৎ একাদশী-দিনে সমস্ত পাপ আহার্য্য বস্তুকে আশ্রয় করিয়া থাকে—অর্থাৎ একাদশীতে আহার করিলে সর্ব্বপাপভাগী হইতে হয়। ধর্ম্মোন্মত্ত ভারতের জন্য শাস্ত্রের এই শাসন-বাক্যের সূক্ষ্ম লক্ষ্য-রহস্য সুধীজন বুঝিবেন।