পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

উপবাস


 পূর্ব্বে জ্বর হইলে কবিরাজ মহাশয়েরা “লঙ্ঘন”ই ব্যবস্থা করিতেন। “জ্বরাদৌ লঙ্ঘনং পথ্যং জ্বরান্তে লঘুভোজনং।” সে দিন এখন গিয়াছে; এখন কবিরাজের রাজত্ব গিয়া ডাক্তারের রাজত্ব হইয়াছে। তাঁহারা vitality বা জীবনীশক্তির জন্য চিন্তিত। অনাহারে জীবনী শক্তির হ্রাস হইবে, এই তাঁহাদের ভয়। কবিরাজ মহাশয়েরাও শাস্ত্রের আদেশ উপেক্ষা করিয়া, দেশ-কাল-পাত্রানুসারে ডাক্তার বাবুদেরই অনুকরণ করিতেছেন। সুর কিন্তু ফিরিতেছে! পাশ্চাত্য চিকিৎসাব্যবসায়িগণ ইদানীং উপবাসের ভূয়সী প্রশংসা করিতেছেন; সুতরাং অবস্থাবিশেষে উপবাসই যে স্বাস্থ্যরক্ষার প্রধান উপায়, তাহা পুনর্ব্বার এদেশের লোক বুঝিবেন বলিয়া আশা করা যায়।

 বর্ত্তমানে দেশ যেরূপ দরিদ্র, তাহাতে উপবাস অভ্যাস করিলে, অর্থচিন্তারও অনেক লাঘব হইবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। একথা উপহাসচ্ছলে বলিতেছি না, ঠিক্‌ মনের কথা বলিতেছি। অন্ততঃ দুইটা একাদশী আর অমাবস্যা-পূর্ণিমায় যদি উপবাস করা যায়, তাহা হইলে বৎসরে