প্রত্যেক ব্যক্তির দেড় মাসের অধিক কালের আহারের ব্যয় বাঁচিয়া গেল। ইহাতে সকলের বাৎসরিক ব্যয়ের অষ্টমাংশ বাঁচিল, অর্থাৎ শতকরা প্রায় ১২৲ টাকা বাঁচিয়া গেল।
উপবাসে দরিদ্রের যেরূপ উপকার, ধনীরও তদ্রূপ; তাঁহার ধন ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাইবে। কৃপণের পক্ষে উপবাস উপযোগী, দাতার পক্ষেও তাহাই। ইহা দ্বারা দাতা দান করার অধিক সুবিধা পাইবেন।
টাকা বাঁচাইবার জন্য, উপবাস করিয়া শরীরকে অনর্থক কষ্ট দিব কেন? এ প্রশ্নের উত্তর এই যে—উপবাসের দ্বারা শরীরের কোন অপকার হয় না, কিন্তু বিশেষ উপকারই হয়। একেবারে উপবাস না করিলেই বরং শরীরের অপকার হয়।
আমাদের যে কোন ব্যাধি, তাহা প্রায়শঃ আমাদের অজীর্ণ-রস-সমুদ্ভূত; আমাদের প্রাচীন ঋষিরা ইহা উচ্চ কণ্ঠে আয়ুর্ব্বেদশাস্ত্রে ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন। “অপক্বামরসং দোষবৈষম্যং রোগকারণম্।” দেহীর দেহে রোগাক্রমণের নিদানতত্ত্বালোচনায় বলা হইয়াছে যে, অপক্ব আমরস দ্বারাই দেহে দোষবৈষম্য অর্থাৎ বায়ু-পিত্ত-কফ, এই ত্রিদোষের বৈষম্য (অসামঞ্জস্য) রোগের কারণ হয়। পাশ্চাত্য চিকিৎসকেরাও ক্রমশঃ এই সত্যের উপলব্ধি করিতেছেন।
আমরা যে যাহাই খাই, আমিষভোজীই হই বা নিরামিষভোজীই হই, তাহা ভাল ভাবে জীর্ণ না হইলে, অজীণরস সর্ব্ব-শরীরে সঞ্চারিত হয়; উহাই আমাদের সর্ব্ববিধ ব্যাধির কারণ। আজ কাল Dyspepsia এবং Diabetes