পাতা:উপবাস - যদুনাথ মজুমদার.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপবাস।

বা অম্ল ও বহুমূত্র রোগের বড়ই বাড়বাড়ি দেখা যায়। অতিরিক্ত ভোজনই উহার কারণ। অজীর্ণ রস আমাদের শরীরের যে যন্ত্রে অধিক পরিমাপে সঞ্চারিত হয়, সেই যন্ত্রই রোগাক্রান্ত হয়। অনেক রোগ-বীজ অন্য শরীর হইতে আমাদের শরীরে সংক্রামিত হয় বটে, কিন্তু নিজের শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকিলে, বাহ্যবিষ শরীরে প্রবেশ করিলেও কোন ক্ষতি করিতে পারে না; যদিও করে, সে অতি সামান্য ভাবে, সাংঘাতিক ভাবে নয়। উপবাসে কোন ভয় নাই। সপ্তাহে একবার করিয়া প্রতি রবিবারে উপবাস করিয়া দেখ। একদিন না খাইলে ত আর মরিবে না ভাই! দেখ, শরীর সেদিন পূর্ব্বাপেক্ষা ভাল থাকে কিনা। উপবাসের দিন অন্ততঃ দুইবার স্নান করিবে; উষায় ও মধ্যাহ্নে অথবা মধ্যাহ্নে ও অপরাহ্নে। আর একেবারে নিরম্বু উপবাস না করিয়া, যতবার ইচ্ছা—বিশুদ্ধ জল যত পার, খাইবে। উপবাসের দিন—অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জল ব্যতীত অ।র কিছুই খাইবে না। সুফল হাতে হাতে পাইবে; দেখিবে—পেট পরিষ্কার হইয়াছে, জিহ্বা পরিষ্কার হইয়াছে, গাত্রে ‘ঘিন ঘিন ভাব’ নাই, অলসতা নাই, কার্য্য করিতে অনিচ্ছা নাই; শরীর লঘু হইবে, মনে স্ফূর্ত্তি ও শান্তি আসিবে। আয়ুর্ব্বেদশাস্ত্র উপবাসের উপকারিতা-বর্ণনে বলিয়াছেন,—

‘অনবস্থিতদোষাগ্নের্লঙ্ঘনং দোষপাচনং।
জ্বরঘ্নং দীপনং কাঙ্ক্ষারুচিলাঘনপ্রাণদম্॥’

 অর্থাৎ অগ্নির অনবস্থিততায় যে অজীর্ণ-রসরূপ দোষ