কিছুতেই দূর হইবার নহে৷ আপনি অনুমতি করুন, আমি যুদ্ধ করিব৷ আর, আপনার নিকট যদি কোনো অপরাধ করিয়া থাকি, তাহা ক্ষমা করুন৷”
ভীষ্ম বলিলেন, “যদি যুদ্ধ করিবেই, তবে রোষহীন মনে পুণ্য কামনায় যুদ্ধ করিয়া ক্ষত্রিয়ধর্ম পালনপূর্বক স্বর্গে চলিয়া যাও৷”
দ্ৰোণপৰ্ব
ষ্মের পতন হইলে কর্ণ আসিয়া কৌরবদিগের পক্ষে যোগ দিলেন৷ কর্ণকে পাইয়া তাঁহাদের উৎসাহের সীমা রহিল না৷ অনেকে বলিল, “ভীষ্ম ইচ্ছা করিয়া পাণ্ডবদিগকে মারেন নাই, কিন্তু কৰ্ণ উহাদিগকে নিশ্চয় বধ করিবেন৷”
দুৰ্যোধন বলিলেন, “কর্ণ! একজন সেনাপতি স্থির কর।” কর্ণ বলিলেন, “দ্রোণ থাকিতে আর কাহাকে সেনাপতি করিবেন? দ্রোণই সর্বাপেক্ষা একাজের উপযুক্ত৷”
একথায় দুর্যোধন দ্রোণকে বলিলেন, “গুরুদেব! এখন আপনি সেনাপতি হইয়া আমাদিগকে রক্ষা করুন৷”
দ্রোণ বলিলেন, “আচ্ছা, আমি সেনাপতি হইয়া যথাসাধ্য যুদ্ধ করিব৷ কিন্তু আমি ধৃষ্টদ্যুম্নকে বধ করিতে পারিব না। সে আমাকে মারিবার জন্যই জন্মিয়াছে।”
দ্রোণকে সেনাপতি করিয়া কৌরবগণ বলিতে লাগিল, "এবারে পাণ্ডবদের পরাজয় নিশ্চয়!” দ্রোণ দুর্যোধনকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বল দেখি, আমি তোমার জন্য কি কবিব?”
দুৰ্যোধন বলিলেন, “আপনি যুধিষ্ঠিরকে জীবন্ত ধরিয়া দিন৷” দ্রোণ ইহাতে আশ্চর্য হইয়া বলিলেন, “যুধিষ্ঠিরই ধন্য; তাহার শত্রু কোথাও নাই! তুমিও তাহাকে মারিতে না চাহিয়া, কেবল ধরিয়া আনিতে চাহিতেছ৷”
ভালো লোকে ভালোভাবেই কথা নেয়, দ্রোণ মনে করিলেন যে, দুর্যোধন বুঝি যুধিষ্ঠিরকে ভালোবাসিয়াই তাঁহাকে মারিতে চাহেন নাই৷ কিন্তু দুর্যোধনের পেটে যে বাঁকা বুদ্ধি, তাহা তাহার কথাতেই ধরা পড়িল৷ তিনি বলিলেন, “যুধিষ্ঠিরকে মারিলে কি অৰ্জুন আর আমাদিগকে রাখিবে? তাহার চেয়ে তাহাকে জীবন্ত ধরিয়া আনিতে পারিলে, আবার পাশা খেলিয়া বনে পাঠাইতে পারিব৷”
এ কথায় দ্রোণ বলিলেন, “অৰ্জুন থাকিতে যুধিষ্ঠিরকে ধরিয়া আনার শক্তি দেবতাদেরও নাই৷ অর্জুনকে যদি সরাইতে পার, তবে যুধিষ্ঠিরকে নিশ্চয় আজ ধরিয়া আনিব৷”
চরের মুখে এই সংবাদ শুনিয়া যুধিষ্ঠির অর্জুনকে বলিলেন, “তুমি আজ আমার নিকট