পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৩২
উপেন্দ্রকিশোর সমগ্ররচনা

দেবতা সমান কন্যা তাহার ভিতরে,
সুখে তারে মহারাজ নিল বুকে করে।
সীতে থেকে উঠে তাই নাম তার সীতা,
জনকেরে কয় সবে সে মেয়ের পিতা।
রাজা কন, “ধনুকেতে যেই গুণ দিবে,
সেই সে সীতারে মোর বিবাহ করিবে।”

না জানি কতই ভারি ছিল ধনুখানি।
অনেক হাজার লোকে আনে তারে টানি।
ভয়ংকর সেইধনু তুলি বাম হাতে,
 হাসিতে-হাসিতে রাম গুণ দেন তাতে।
তারপর গুণ ধরি দিল এক টান,
‘মট্’ করি হর-ধনু ভেঙ্গে দুইখান।
ভয়ে তায় চোখ বুজি, কানে দিয়ে হাত,
‘বাপ’! বলি কত বীর হয় চিৎপাত।
বড়ই হলেন সুখী জনক তখন,
রামেরে আদর করি কত কথা কন।
বিবাহের কথা স্থির হইল ত্বরায়,
লিখন লইয়া দূত যায় অযোধ্যায়।
পত্র পান দশরথ বসিয়া সভায়—
“শ্রীরাম-সীতার বিয়ে এস মিথিলায়।”
রাজা কন, “কি আনন্দ চলাহ সকলে।”
অমনি সাজিল সবে ‘রাম জয়’ বলে।
হতি ঘোড়া, লোকজন ঢাক ঢোল নিয়া,
মহনন্দে মহারাজ চলেন সাজিয়া।
চারদিনে যান রাজা মিথিলা নগরে,
জনক নিলেন তাঁরে পরম আদরে।
শুন কি সুন্দর কথা হইল তখন।
সেথা ছিল চারি কন্যা লক্ষীর মতন।
উর্মিলা নামেতে কন্যা জনক রাজার,
ভাইঝি মা তাঁর, শ্রুতকীর্তি আর।
সীতারে লইয়া তাহা হয় চারিজন,
চারি পুত্র দশরথ রাজার তেমন।
মুনিগণ বলে,“আহা, কি চমৎকার,
ছেলে মেয়ে নাই হেন কোনোখানে আর।
এইসব ছেলে যদি এই মেয়ে পায়,