পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছোট্ট রামায়ণ
৭৪৩

ভেড়ার মতন কুঁজী ডাকে চমৎকার।
মরিত সেদিন বেটি আছাড় খাইয়া,
ভাগ্যেতে ভরত আসি দেন ছাড়াইয়া।
ছাড়া পেয়ে তাড়াতাড়ি পলাইল ছুটি,
বাতাসেতে ফড়‍্ফড়্ উড়ে তার ঝুঁটি!
তখন সকলে মিলি, ভরতের সনে,
রামেরে আনিতে সুখে চলিলেন বনে।
বশিষ্ঠ সুমন্ত্র যান, যায় লোকজন,
কৌশল্যা সুমিত্রা আর দাসদাসীগণ।
 কৈকেয়ী চলেন লাজে মাথা হেঁট করি,
লাখে লাখে যায় সেনা খাঁড়া ঢাল ধরি।
গুহের দেশেতে যেই আসিল সকলে,
গুহ বলে, “দেখ, দেখ, ভরতীয়া চলে!
সেটি মোর মিতাটিকে মারিবেক বটে—
লাগা টাঙ্গি ঝট‍্পট্, ঘরে যাক হটে!”
ভরত কি চান গুহ শুনিল যখন,
আনন্দে করিল তার কতই যতন।
পাঁচশত তরী দিয়া করে গঙ্গা পার,
নাচিতে-নাচিতে যায় সাথে-সাথে তাঁর।
ভরদ্বাজ মুনি সনে দেখা হয় পরে,
ভুলিল সবার মন মুনির আদরে।
ঘোল, চিনি, ক্ষীর, সর, দধি, মালপুয়া,
রাবড়ি, পায়স, পিঠা, পূরী, পানতুয়া।
যত চায়, তত পায়, নাহি ধরে পেটে,
গিলিতে না পারে আর, তবু দেখে চেটে।
মুনি বলিলেন, “রাম থাকে চিত্রকূটে,”
অমনি চলিল সবে সেই পথে ছুটে।
আনন্দে চলেছে তারা হইয়া চঞ্চল,
রামের কুটিরে গেল তার কোলাহল।
গাছে উঠে দেখি তায় কহেন লক্ষ্মণ,
“ভরত যাইল দাদা লয়ে লোকজন।
মোদের মারিতে দুষ্ট আসিছে হেথায়,
মাথা কেটে তার সাজা দিব আমি তায়।”
রাম কন, “ভরতের কোনো দোষ নাই,
তাহারে এমন কথা কেন বল ভাই?”
লাজেতে আসেন তায় নামিয়া লক্ষ্মণ,