পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬০
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

বড় শঠ সেই বেটা, ভারি ফন্দি জানে,
ব্রহ্মাস্ত্রে বাঁধিল আসি বীর হনুমানে।
হনু ভাবে, ‘লয়ে যাক রাবণের কাছে,
দেখে নিব, পেটে তার কত বিদ্যা আছে।’
তখন রাক্ষস যত ছুটে গেল নাচি
হনুরে বাঁধিল কষে আনি কত কাছি।
তায় কি হইল, সবে শুন মন দিয়া—
ব্রহ্মাস্ত্র খুলিয়া গেল দড়িতে ঠেকিয়া।
দড়ি ঠেকাইতে কভু না হয় সে বাণে,
অবোধ রাক্ষসগণ তাহা নাহি জানে।
“হেঁইয়ো, হেঁইয়ো!” বলি টানে সবে মিলি।
চিমটি কাটিছে কত কি হবে তা কয়ে,
এই মতে রাবণের কাছে গেল লয়ে।

যতেক রাক্ষস ছিল সভার ভিতরে,
হনুরে দেখিয়া তারা রহিল হাঁ করে।
তারা বলে, “আরে বাপ! কি বড় বান্দর।
কেন রে আসিলি তুই? কোন দেশে ঘর?
বোনটি ভাঙিলি কেনে? কে পেঠালো তোরে
মিছাটি কহিবি যেবে, খাব তোকে ধরে।”
হনুমান বলে, ‘‘আমি শ্রীরামের দূত,
হনুমান মোর নাম পবনের পুত।
সীতাকে ফিরায়ে যদি না দেয় রাবণ,
কাটিবেন মাথা তার শ্রীরাম লক্ষ্মণ।”
ঘুরায়ে কুড়িটা চোখ, বলিছে বাবণ,
“কাট্ তো রে অভাগারে, কাট্‌ এইক্ষণ।”
সেথা ছিল বিভীষণ, রাবণের ভাই,
সে বলে, “দূতেরে কভু মারিতে তো নাই।”
রাবণ কহিল, “তবে কাজ নেই মেরে,
লেজটি পোড়ায়ে তার, দে বেটাকে ছেড়ে।”
কাপড় হনুর লেজে জড়ায়ে তখন,
তেল ঢালি দিল জ্বলি সেই দুষ্টগণ।
হো-হো করে হনুমান হেসে তায় সুখে,
ঘষে দিল সেই লেজ দুষ্টদের মুখে।
ছোট হল তারপর, ইঁদুর যেমন