পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬৪
উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র

অস্ত্র করে ঝন্‌ঝন্‌, বাজে ঢাক ঢোল।
হেথায় রামের বাণ ছোটে যেন তারা,
পলায় রাক্ষস তায় হয়ে দিশাহারা।
অঙ্গদ রুষিয়া গেল দেখি ইন্দ্রজিতে,
পিষিল সারথি তার বিষম লাথিতে।
তাহে দুষ্ট ইন্দ্রজিত পেয়ে বড় ডর,
মেঘে লুকাইয়া যুদ্ধ করে তারপর।
শুন বলি হল তায় কি যে সর্বনাশ,
চোর বেটা মারে বাণ নাম নাগপাশ!
বড়-বড় অজগর ছুটে এল তায়,
বিষম জড়াল রাম লক্ষ্মণের গায়।
সাপে বাঁধা দুই ভাই নড়িতে না পান,
বাণেতে তাঁদের দুষ্ট করিল অজ্ঞান।
“মানুষ দুটাকে আমি আসিয়াছি মেরে!”
হেথায় কি হল তাহা শুন মন দিয়া—
কাঁদিছে সকলে রাম লক্ষ্মণে ঘিরিয়া।
আইল গরুড় পাখি তখন সেথায়,
সাপেরে দেখিলে ধরে আমনি সে খায়।
জটায়ুর জ্যেঠা সে যে, ভারি ভয়ংকর,
উড়িলে পর্বত কাপে, বড় বয় ঝড়।
তারে দেখি অজগর দুভাইকে ছাড়ি,
‘বাপ!’ বলি পলাইয়া গেল তাড়াতাড়ি।
গরুড়ে করেন রাম কতই আদর,
উঁচু লেজ করি নাচে যতেক বানর।
কিচির-মিচির শুনি কহিছে রাবণ,
“রাম তো মরিল, তবে গোল কি কারণ?”
রাক্ষসেরা কয়, ‘‘আরে রামা হল চাঙ্গা,
চিল্লায়ে বান্দর বেটা নাচে ধিঙ্গা তাঙ্গা।”
শুনিয়া রাবণ বলে, “সব হল মাটি,”
কোথা রে ধূম্রাক্ষ! এস বেটাদের কাটি!”
ধূম্রাক্ষ চলিল তায় গদা হাতে নিয়া,
বাঘমুখো গাধা সব রথেতে জুড়িয়া।
সঙ্গেতে রাক্ষস কত লেখাজোখা নাই,
দাঁত কড়মড়ি তারা করে হাঁই-মাঁই।
ছোট-ছোট বানরের তেজ বড় ভারি,