পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৭৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছোট্ট রামায়ণ
৭৬৫

রাক্ষসের হাড় ভাঙে কিল চড় মারি।
ক্ষেপিল ধূম্রাক্ষ তায় যমের মতন,
ভয়েতে মর্কট যত পলায় তখন।
ছোট বানরের দল যায় পলাইয়া,
দূর হতে হনুমান দেখিল চাহিয়া।
অমনি আনিয়া এক পর্বতের চূড়া,
ধাঁই করি ধূম্রাক্ষেরে করিল সে গুঁড়া।
রাক্ষসেরে নাহি দেয় ফিরে যেতে ঘরে।
থাপ্পড় লাগায় ভারি, ছিঁড়ে নাক কান,
গলায় জড়ায়ে লেজ কষে দেয় টান।
যেই আসে তারে মারে, নাহি করে ভয়,
মাথাটি ফাটায় তার বলে, “রাম জয়!”
বজ্রদংষ্ট্র, অকম্পন, যুদ্ধে যেন যম,
কুম্ভহনু, নরান্তক, নহে কেহ কম।
প্রহস্থ কেমন বীর, কি হবে তা বলে?
বানরের হাতে এরা মরিল সকলে।
কেমনে ঘরেতে বসে থাকিবে রাবণ?
নিজেই আসিল তাই লয়ে লোকজন।
ইন্দ্রজিত, অতিকায় সাথে এল তার,
ত্রিশিরা নিকুম্ভ, কুম্ভ মহোদর আর।
লাফায়ে বানর ধায় পর্বত লইয়া,
রাক্ষসেরে নাহি দেয় ফিরে যেতে ঘরে।
রাগিয়া রাবণ মারে চোখা-চোখা বাণ,
পর্বত ভাঙিয়া তায় হয় খান্‌-খান্‌।
বড় যুদ্ধ করে বেটা ভুতের মতন,
আঁটিতে নাহিক তারে পারে কোনোজন।
সুগ্রীব অজ্ঞান হল বুকে বাণ ফুটে,
গবয়, ঋষভ, নল, পলাইল ছুটে।
কিল বাগাইয়া তায় এল হনুমান,
দুজনে হইল যুদ্ধ সমান-সমান।
দুজনে মারিল সে কি যে সে কিল চড়?
অন্য লোক হলে তায় ভাঙিত পাঁজর।
বড় বীর ছিল তাই মরে নাই তারা,
ব্যথায় চেঁচিয়ে কিন্তু হয়েছিল সারা।
তখন রাবণ দিল হনুমানে ছাড়ি,