পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৮১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
সেকালের কথা
৮১৫

পণ্ডিতেবা পরীক্ষা কবিযা দেখিয়াছে যে, গাছপালাকে এইরূপ অবস্থায় পচাইতে পারিলে তাহা পাথুবে কয়লা হইয়া যায়। মাটি যে অনেক স্থলে একটু একটু কবিযা উঁচু নিচু হয তাহা বোধ হয় তোমো জান। পৃথিবীর অনেক সুলেই এরূপ হইতেছে। সেকালে এই ব্যাপারটা আববা বেশি হইত। তখন একটা প্রকাণ্ড ৪ জলে ডুবিযা যাওযা কিছুই আশ্চর্যের বিষ ছিল না। আব কয়লা হইবার সময় যে এরূপ ঘটনা হইয়াছে, তাহার প্রমাণও পাওয়া যায়। কলাব ভি৩বে যেসকল জিনিস আছে, গাছপালা জলের নীচে পচিয়া ৩াহা জন্মিযা থাকে। খনিতে এক এক থাক কালর উপবে এব, চে এক এক থাক মাটি থাকে, সে মাটি, আব পুকুব বিল ইত্যাদি এলার কাদা একই জিনিস। ঘোলা জল থিতাই। ঐরূপ মাটি উৎপন্ন সকল বন ইহাতে স্পষ্ট বুঝা যাইতেছে যে, এক একটা বন পচিয়া এক এক থাক কলার জন্ম হইয়াছিল। মাটি নিচু হইয়া যাওয়াতে হয় একটা বন জলে ডুবিয়া গেল। সেই জল ৩।ইযা পলি পbিযা (ঘোলা জলে মিশানো কাগ এল পডিয়া যাওযার নাম পলি প6) সেই এ ঢাকা পডিল। আবার কালে হযও সেই জায়গাটা উচু হওযাতে পুনবায় সেখানে শুকনো মাটি হইল, ৩াহাব উপবে আবাব বা হইল, আবার তাহা ডুবিযা গেল। এইরূপ কবিয়া যে এক এক থাক কালা আব এক এক থাক মাটি ক্রমে সঞ্চয হইতে পাবে তাহা সহজেই। বুঝা যায়। ইহাব উপবে যখন দেখি যে অনেক সময় এক একটা মাটিব থাকে তাহাব উপবকাব গাছপালাব শিকড়গুলি পাওয়া যায়, তখন আব এ বিষয়ে কোন সন্দেহই থাকে না। ইংলণ্ডেব স্থানে স্থানে বেলে পাথবেব পাহাড় আছে। এই পাথবে মাঝে মাঝে একপ্রকার অদ্ভুত জব পায়েব দাগ দেখিতে পাওয়া যায়। সেই দাগগুলি কতকটা মানুষের হাতের দাগেব মতন। এজন্য এই জন্তুব নাম কাইবোর্থীবিষম্ (হস্ত-জন্তু) বাখা হইযাছে। ইহাব দাঁতেব ভিতবকাব গঠন অত্যন্ত জটিল বলিযা ইহাব আর এক নাম ল্যাবিবিয়োড (জটিল দন্ত)। এই জন্তু প্রায় ষাঁড়ের মতন বড় হইত। ইহাব হাড়ে ব্যাঙের লক্ষণও আছে, কুমিবেব লক্ষণও আছে। স্তন্যপায়ী জন্তুব লক্ষণও আছে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ইহাব মাথাব হাড় দেখিয়া অনেকে সন্দেহ কবেন যে, ইহাব কপালে হয়ত একটি ছোট অতিবিক্ত চক্ষু ছিল। ডসেঁটশায়ারের পাথরে অনেক প্রাচীন জন্তুব চিহ্ন পাওয়া যায়। সেইসকল চিহ্ন খুঁজি বাহির করিয়া বিক্রয় করিলে যে পয়সা পাওয়া যায়, তাহা দ্বাবা অনেকের দিন চলে। একটি মেয়ে এইরূপ করিয়া পয়সা উপার্জন কবিত। ১৮১১ সালে একদিন সেই মেয়েটি প্রাচীন জন্তুর চিহ্ন খুঁজিতে গিয়া দেখিল যে, একটা জন্তুর হাড় পাহাড়েব গা হইতে খানিক বাহির