পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
সেকালের কথা
৮২১

চামড়াটি গণ্ডারের চামড়ার চাইতেও উঁচুদরের। ইহাব উপর আবার গলায় হাঁসুলি! তোমরা হয় বলিবে ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া'। ইহাতে আমার আপত্তি নাই, তবে বিষফোঁড়াটা দেখিতেছি গাদের চাইতেও বড় হইয়া গেল। লম্বায় এই ৫ন্তু প্রায় পচিশ ফুট হইত। সুতরাং এ বিষয়ে ও গণ্ডাবেব জাঠামহাশয়। | এরপর যাহার ছবি দেওয়া। যাইতেছে ওহাব নাম স্টিগোেবস স্টিগোলোবস’(চাল কুমির) ইহার ১৫ ফুট লম্বা বিবমিষখেকো ডাইনোসব। ইহ'ল দুইটি মস্তিষ্ক ছিল পিঠ দেখিলে খডো ঘরের চালেব কথা মনে হয়, তাই এই নাম হইযাছে। এই জন্তু প্রায় ত্রিশ ফুট লম্বা হইত। স্টিগোবেসে সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞাতব্য একটা কথা আছে। এই জন্তুর কোমরের নাচ এমন একটা স্থান আছে যে, তাহা দেখিলে মনে হয, উহাব ঐ স্থানেও মস্তিষ্ক ছিল। একটা জন্তুর দুইটা মস্তিন, এ কথা ভাবিলে আশ্চর্য হইতে হয়। ইহার মাথায় যতটুকু মস্তিষ্কের স্থান তাহার দশগুণ বেশি মস্তিষ্কের স্থান কোমরের কাছে। এত মগজ যাহার, ৩হার না জানি কতটা বুদ্ধি ছিল! মাঝে মাঝে এক একটা দশ বাব বছবের ছেলে দেখিতে পাই—সে চুট খাইতে শিখিয়াছে, আর ইহারই মধ্যে এত জিনিসের খবর লইয়াছে যে, ৩াহা শুনিলে অবাক হইতে হয়। তখন আমার এই সিস্টগোলোবসের কথা মনে পড়ে, আব একটিবাব সেই ছেলেব কোমরের দিকে চাহিয়া দেখিতে ইচ্ছা করে, ওখানেও একটা বুদ্ধির ঝুলি আছে কি না। তোমরা তাহাকে দেখিলে হয়ত বলিবে ‘জ্যাঠা। কিন্তু আমার মতে ইহাকে চাল কুমির বলিলে অধিক সঙ্গত হয়। পণ্ডিতেরা মনে করেন যে কুমির গোসাপ ইত্যাদি জাতীয় জন্তু হইতেই পাখির উৎপত্তি, এ কথা পূর্বেই বলিয়াছি। ইকথিয়োসোরস, প্লীসিয়োসোরস প্রভৃতির ভিতরে পাখির লক্ষণ ছিল না। তারপর ডাইনোসরগুলির ভিতরে পাখির লক্ষণ দেখা যাইতে লাগিল। ইহাদের কোমরের হাড়, পিছনের পা প্রভৃতি পাখির মতন ছিল,ইহাদের পায়ের দাগ দেখিলে পাখির পায়ের দাগ বলিয়া ভ্রম হয়। ঠোটওয়ালা ডাইনোসর, ইকথিয়োসোর ও প্লীসিয়োসোরসের সময় হইতেই ছিল। ইহাদের ঠোট পাখির ঠোটের মতনই ছিল, তাহার উপর আবার অনেক সময় ইহাদের দাঁতও থাকিত। ইহাদের অনেকেই উড়িতে পারিত। কিন্তু তাহাদের পাখা পাখির পাখার মতন ছিল না;কতকটা বাদুড়ের পাখার মতন ছিল। ইহাদের সাধারণ নাম টোেড্যাক্টাইল (অঙ্গুলি পক্ষ)। আজকাল যেমন ছোট-বড় নানাপ্রকার পাখি আছে, তেমনি ইহারাও নানারকমের হইত। কোন কোনটা চড়াই পাখির মতন ছোট ছিল;আবার কোন কোনটা ডানা মেলিলে ২৫ ফুট