উভয় সঙ্কট।
১৫
পিস্তল স্বহস্তে লইয়া আত্মহত্যা করিলে ক্ষতস্থানের উপর বারুদের কাল-দাগ নিশ্চয়ই থাকিত। যেরূপ সাদা পোষাক পরা, তাহাতে কাল দাগ নিশ্চয়ই পড়িবে।”
পুলিস-সার্জ্জনের কার্য্য শেষ হইয়া গেলে পর, তিনি বিদায় গ্রহণ করিলেন। তখন বড় সাহেব আমার মুখের দিকে চাহিয়া কহিলেন,—“তুমি এখানে কিরূপে আসিলে?”
সে প্রশ্নের আমার আর কোন উত্তর দিতে হইল না। ইন্স্পেক্টার সাহেবই উত্তর দিলেন,—"হঠাৎ রাস্তায় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, আর তার পর বরাবরই সঙ্গে ছিলেন, সে সকল কথা ত আমি আপনাকে জানাইয়াছি।”
বড় সাহেব সে কথা শুনিয়া এইবার আমায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ খুন সম্বন্ধে তোমার কোন কথা বলিবার আছে?”
আমি বিনীতভাবে উত্তর করিলাম, “কি সম্বন্ধে আজ্ঞা করুন।”
বড় সাহেব। এটা খুন না আত্মহত্যা?
আমি। আজ্ঞে, এটা যে খুন—সে সম্বন্ধে আর কোন সন্দেহ নাই। আমি অনুসন্ধানে আরো কিছু জানিতে পারিয়াছি, অনুমতি হইলে নিবেদন করি।
বড় সাহেব। কি জানিতে পারিয়াছ বল?
অমি। খুনের সময় এখানে আর একজন সম্ভ্রান্ত স্ত্রীলোক ছিলেন, আমাদের আসিবার পূর্ব্বেই তিনি পলায়ন করিয়াছেন।
বড় সাহেব। কিরূপে জানিলে?
আমি। খিড়কীর দরজার দিকে যে মাঠ আছে, সেই মাঠের উপর পায়ের চিহ্ন দেখিয়া আমার মনে প্রথমে সন্দেহ হয়। রাত্রে বিলক্ষণ বৃষ্টি হইয়াছিল, সেইজন্য মাঠের উপর বেশ স্পষ্ট