২২
দারোগার দপ্তর, ১৬০ সংখ্যা।
পারিলাম না। তখন কেনারাম দাদাকে সঙ্গে লইয়া চোরবাগানের দত্ত বাবুদিগের বাড়ীর উদ্দেশে বাহির হইলাম।
পথে কেনারাম দাদা আমায় কহিল, “ভায়া হে, তোমার ডিটেক্টিভ বিভাগের এত লোক থাকিতে আমার উপর এ অনুগ্রহ কেন?”
আমি উত্তর করিলাম,—“কাজটা কি মন্দ করিয়াছি দাদা? চিরকালই কি জমাদারীতে কাটাইবে? নিজের উন্নতির কোন চেষ্টাও করবে না? যদি আমরা এ খুনের কোন কিনারা করিতে পারি, তবে তোমার এ মৌরসী পাট্টার জমাদারী আগে ঘুচাইব।”
কেনারাম দাদা তখন কহিলেন,—“আমি ত ভাই, তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারিতেছি না। খুন হইয়াছে ত একপ্রকার আমাদেরই চক্ষের সাম্নে। খুন হইয়াছে যে বন্দুকের গুলিতে— সেই বন্দুক হস্তে আসামীকে আমরা ধরিয়াছি, সুতরাং এইখানেইত কাজের খতম—এ খুনের কিনারা করিতে পারিলে উন্নতি হইবে বলিতেছ, কিন্তু এ খুনের কিনারা আবার কিরূপে করিতে হইবে, আমি ত ভাই, কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না।”
আমি কহিলাম,—“কেন,—বড় সাহেবের কথা কি ভুলিয়া গেলে দাদা? বড় সাহেব তোমারই সম্মুখে আমায় বলিলেন, এ কাজ বড় গুরুতর। আসামী ধৃত হইয়াছে বটে, তাহার বিপক্ষে প্রমাণ কি? আর সেই যে আসামী, তাই বা এখন কেমন করে বলা যাইতে পারে? তাহাকেই সন্দেহ হয় বটে, কিন্তু তাহার বিপক্ষে এখন অনেক প্রমাণ সংগ্রহ করিতে হইবে। প্রথমতঃ খুনের উদ্দেশ্য কি— সেটা পর্য্যন্ত আমরা এখনও জানতে পারি নাই।
কেনারাম দাদা কহিলেন, “বড় সাহেব ত তোমার মতেই মত