পাতা:উভয় সঙ্কট - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উভয় সঙ্কট।
২৯

 আব। অলঙ্কার নিশ্চয়ই ছিল, তবে মূল্যবান কি না বলিতে পারি না, কারণ আমি পূর্ব্বেই বলিয়াছি, সে স্ত্রীলোকের আপাদমস্তক চাদরে ঢাকা।

 আমি। তবে গায়ে গহনা ছিল কিরূপে বুঝিলে?

 আব। বৃষ্টির দরুণ গাড়ীর দরজা আঁট হইয়া গিয়াছিল, তাহারা দরজা বন্ধ করিতে পারে নাই। আমি দরজা বন্ধ করিতে গিয়া স্ত্রীলোকের গায়ের গহনার শব্দ পাইয়াছিলাম।

 আমি। তুমি যখন মেছুয়াবাজার স্ট্রীট হইতে গাড়ী লইয়া সেই মাঠের ধারে যাও, তখন কি সেই স্ত্রীলোক সেখানে গাড়ীর অপেক্ষায় ছিল?

 আব। না—তখন সেখানে সে স্ত্রীলোক ছিল না, সেই লোকটা মাঠের দিক হইতে সেই স্ত্রীলোককে সঙ্গে করিয়া আনিয়াছিল।

 আবদুলের নিকট এই সকল সংবাদ পাইয়া আমার বড়ই আহ্লাদ হইল। তখন আর আমার কালবিলম্ব সহ্য হইল না। আমি আবদুলকে তৎক্ষণাৎ গাড়ী জুতিয়া আমায় খিদিরপুরে লইয়া যাইতে কহিলাম। সে এইমাত্র ঘোড়াকে খাটাইয়া আস্তাবলে আসিয়াছে—এখন নিজেও স্নানাহার করিবে, সুতরাং সে সময় যাইতে অস্বীকার করিল। আমি তখন তাহাকে আমার প্রতিশ্রত আর তিনটি টাকা দিলাম। আমার নিকট সে টাকা পাইয়া আবদুল আর কোন আপত্তি করিল না। অন্য ঘোড়া জুতিয়া আমায় খিদিরপুরে লইয়া গেল। খিদিরপুরে লইয়া গিয়া সে আমায় একটা গেটওয়ালা বাড়ী দেখাইয়া দিল। গাড়ী হইতে নামিয়া দেখি,—সে গেট চাবিবন্ধ। সে বাড়ীর মধ্যে কোন