৪০
দারোগার দপ্তর, ১৬০ সংখ্যা।
বড় সাহেব। নীমুখান্সামার লেনের ফেরোজা বাড়ীওয়ালীর বাড়ী।
আমি। অত দূরদেশ হইতে সে যখন কলিকাতায় আসিয়াছে, নিশ্চয়ই তাহার সঙ্গে কাপড়চোপড় প্রভৃতি কিছু না কিছু দ্রব্য ছিল, সে সকল সে কোথায় রাখিয়াছে?
বড় সাহেব। সেই ফেরোজা বাড়ীওয়ালীর বাড়ী।
আমি। নীমুখান্সামার লেনের ফেরোজা বাড়ীওয়ালীর বাড়ীর নম্বর কত?
বড় সাহেব। সে কথা সে বলিতে পারে না।
আমি। নীমুখান্সামার লেন ত চাঁপাতলায়—দপ্তরীপাড়ার সন্নিকট। সেখানে কোন অনুসন্ধান করা হইয়াছিল কি?
বড় সাহেব। না—কে সে অনুসন্ধান করিবে? তোমার উপর যখন এ খুনের তদারকের ভার, তখন আমি আর কাহাকেও সে কার্য্যে পাঠাইতে পারি না।
আমি। এ খুন সম্বন্ধে সে কি বলে?
বড় সাহেব। সে ত খুন স্বীকার করে না—সে বলে, তাহার প্রভু আত্মহত্যা করিয়াছে।
আমি। সে আত্মহত্যার কারণ কিছু বলে?
বড় সাহেব। না—সে বলে, সেইদিন সে চাকুরী লইয়াছে, সুতরাং সে আত্মহত্যার কারণ কিরূপে জানিবে। সে যেভাবে সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়াছিল, তাহাতে তাহাকে একজন সামান্য পাচক বলিয়া বিশ্বাস করা যাইতে পারে না। সে যে একজন বিদ্বান ও বুদ্ধিমান, তাহার উত্তরের কায়দা দেখিয়াই আমি বুঝিয়াছি। সে নিশ্চয়ই ছদ্মবেশী—তোমার কথাই ঠিক্।