৫০
দারােগার দপ্তর, ১৬০ সংখ্যা।
তখন কর্ম্মচারী উত্তর করিলেন,—“তবে সে নিশ্চয়ই প্রাচীর লাফাইয়া পুনরায় এস্থান হইতে পলায়ন করিয়াছে।
আমি কহিলাম,—“আমি বাড়ীর চারিদিকে লোক রাখিয়াছি, সুতরাং আপনার এ কথা আমি বিশ্বাস করিতে পারিব না। আচ্ছা, এ বাড়ী কাহার?”
কর্ম্মচারী। এ বাড়ী রামপুরের নবাব সাহেবের।
একজন এরূপ সম্ভ্রান্ত লোকের বাড়ী সুতরাং অন্দরের মধ্যে অনুসন্ধান করিবার প্রস্তাব আমি আর উত্থাপন করিতে পারিলাম না। তথাপি কহিলাম, “আমি একবার নবাব সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে ইচ্ছা করি।”
কর্ম্মচারী আমায় এক সুসজ্জিত গৃহের মধ্যে লইয়া গিয়া অপেক্ষা করিতে বলিলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিবার পর নবাব সাহেবের সহিত সাক্ষাৎ হইল। আমি সসম্ভ্রমে উঠিয়া দাঁড়াইয়া এক লম্বা সেলাম করিলাম। তার পর সমস্ত ঘটনা তাঁহার নিকট একে একে বর্ণনা করিলাম। তিনি ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই ভ্রমে পড়িয়াছেন, আসামী এ বাড়ীর মধ্যে থাকিলে নিশ্চয়ই ধরা পড়িত। আপনি ত সকল স্থানই অনুসন্ধান করিয়াছেন?”
আমি কহিলাম, “কেবল অন্দরের মধ্যে অনুসন্ধান করা হয় নাই।”
তখন নবাব সাহেব পুনরায় ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “দেখুন, আমায় অন্দরে এখন কোন জেনানা নাই, আপনি ইচ্ছা করিলে সে অন্দরও অনুসন্ধান করিতে পারেন।”
আমি তখন নবাব সাহেবের সঙ্গে তাঁহার অন্দরও তন্ন তন্ন