পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ শোনালুম। টাংর্যর মাঠে ইন্দুর সঙ্গে একদিন কুল খেতে গেলুম-বড় খোলা মাঠ, দিকচক্রবাল বড় দূরবিসৰ্প, একটা উইয়ের ঢিবির কাছে বসে সেদিন সূৰ্য্যন্ত দেখলুম। ঘেটুফুল এখানেও খুব ফুটােচ । গণেশ মুচি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েচে, ট্যাংরার ধারে গল্প চরাচ্ছিল। লেবুতলার ওই পথে অনেকদিন কেউ আসেনি, যখন রোয়াকে বসে থাকি, এইদিন্ন দেখলাম নীল সাড়ি পরে আসতে ওই পথটাতে বহুদিন পরে । A. গত শনিবারে সাউথ গড়িয়া গ্রামে বেড়াতে গোলাম বোধহয় পনেরো বছর পরে। ভূতনাথ এখানে থাকতে আমি এখানে এসেছিলুম, সে কি আজুকার কথা ? বড় রোদ পড়েচে, বারোটার ট্রেণ ওখান থেকে রাজপুর এলুম। দুলিদের বাড়ীর পিছনে বঁাশবনের তলায় কেমন ছোট ছোট ঘেটুগাছ। বেশ লাগে। ওই বঁাশবনের মধ্যের জায়গাটি । ” আজ গিয়েছিলুম নীরদবাবুদের মোটাব্দে গঞ্চিয়! গ্রামের একটা ভাঙা শিবমন্দিরের পারে। জ্যোৎস্না উঠেছে পুণ, ভাঙা মন্দির আর একটি প্রাচীন বটগাছ-পটভূমিকা বেশ চমৎকার । বেশ, গাংগুলী , মুজি জোৎস্নাটা। কতক্ষণ বসে গল্প করলুম। গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে আরম্ভ কুরে কি দ্বোরাই গেল। ক'দিন । প্রথম তো শুক্রবার আসাম মেলে। রংপুর রওনা চলুম। সেখানে সারস্বতসম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে। দুপুরের রোদ বেশ বাড়াচ-পথে পথে ঘেটুফুলের শোভা-সারা পথেই, ঘেটুফুল দেখতে দেখতে চলেছি। নৈহাটীর কাছাকাছি এসে মনে হোল আমাদের গ্রাম এখান থেকে বেশী দুর নয়-সোজা গেলে হয়তো বিশ মাইলের মধ্যে। এই দুপুর রোদে আমাদের পাড়ার সবাই যে যার ঘরে ঘুম দিচ্চে হয় তো । রাণাঘাট Y R *