পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ মাছে মাঝে এদিকে চাইচে। বেজায় রাগ করেচে। আঞ্জ। সারাদিন যাইনি বলে। পরদিন সকালে ভয়ানক অসুযোগ ও অভিমানের গাণি৷ তারপর একদিন নাকফুল হরিপদ চক্ৰবৰ্ত্তীর বাড়ী নৌকা ঝােণ নিমন্ত্রণ খেতে গেলুম-আমি, মন্মথ দা, বিভূতি। আমাদের ঘাটে লেগে গুটুককে ডাকতে গেলুম, আমি, বিভূতি ও মন্মথ দ্য । গুটুকে ইন্দুর ছেলে, গরীব বাপ, ভাবলুম নিয়ে যাই, ভাল মন্দটা খেতে পাধে এখন । গিয়ে শুনি তায় জ্বর। সন্ধ্যার সময় নাকফুল থেকে যখন ফিরচি, তখন দেখি দেন্তু একখানা নৌকা থেকে বলচে-ও বিভূতি দা ! “দুজনে বেড়াতে ধার হয়েচ মহাষ্ট্রসার দিনষ্ট ! বনগাতেই ছিলুম। খসু রামারির মাঠে বেড়াতে ধোতুম। একদিন গিয়েছিলুম চালক। নরেন দা এসে নিমন্ত্রণ করেছিল। অঃ ধনতারার ফুল ফুটেচে বনে ঝোপে, ছাতিম ফুল ফুটচে-বৃষ্টি থেমে যাওয়ার “দারুণ পথঘাট, খট্‌খটু করািচ শুকনো, বেশ লাগলো। চালুকীঃত থেঃে দেয়ে গেলুম ‘বারাকপুর। আমার প্লোয়াকে চেয়াব পেতে বদলুম। সেই জ্যৈষ্ঠ মাসের পরে। মনে হোল এক্ষুনি খুকু যেন আঁচল উড়িয়ে আসচে পাশের বাড়ীর শিউলিতলা থেকে ৭ আর তার সঙ্গে ওভাবে জীবনে কখনই হয়তো দেখা হবে না। আর কোনদিন সে আঁচল ষ্টুড়িয়ে পাশের উঠানের পথটা চেয়ে আসবে না। আগের মত। মনে পড়: ওদের উঠোনের ওই বড় শিউলি গাছটার ফুল ফুটতে এই পূজার সময়-আমি বসে বসে। এইখানে “আইভ্যানুহো’র অনুবাদ করতুম, আমার কাছে রোজ সন্দে বেলা আসাই চাই ওর-ভোটের গাড়ীতে নানা ছুতো করে আমার বনগী থেকে আসা-সে সব দিনের কথা কোনোদিন ভোলা ঘাবে না। y : SFS