পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকুর্ণ ওদের সীতাকুণ্ড গ্রামে যে বাড়ী আছে, সেখানে গ্রামে গিয়ে উঠলুম। মধুর মা বলে একজন ব্ৰাহ্মণ বিধবা আমাদের আদর-যেত্ন করলেন। সুপুরির গুঁড়ির সাকো দিয়ে পার হয়ে রেণু ও আমি অতি কষ্ট মধুত্ব মার বাড়ী গিয়ে পৌঁছুই। আমি তামাক খাচ্চি হুকোয় (মধুর মা সেজে দিল) দেখে রেণুতো হেসেই অস্থির। বুদ্ধ, তার ক্যামেরাতে সেই অবস্থায় আমার ফটো নিলে । আরও অনেক ফটো নেওয়া হোল পাহাড়ে উঠবার পথে । রেণু কেবল বলে—আপনার জন্যে আমার ভয়। আমি ধলি— তোর কোন ভয় নেই-চল উঠে। কি সুন্দর দৃশ্য, কি শ্যামল বনানী, বিরাট বনস্পতিদের ভিড় শস্তুনাথের মন্দিরের কাছে রেণু, কল্যাণী ওরফে চক্ষু জ্বল খেয়ে নিলে। যেমন আমি বলি চঞ্চু, রেণু অমনি বলে ‘বাহির হইল! চঞ্চলা ধাঠির হইল।” অর্থাৎ আমার গ্রামা-জীবনের লেখক হবার সেই আশ্চৰ্য্য ঘটনাটার কথা। একটা গাছের ফটো নিতে গিয়ে ওদের জোকে ধরলে । জোক অবশ্যি আমাকেও ধরেছিলো । আসবার পথে ওরা তেঁতুল পাড়লে একটা গাছ থেকে--তারপর ওদের বাড়ী এসে সবাই ভাত খাওয়া গেল সন্ধ্য খেলা। রেণু বল্লে—আপনার সঙ্গে এ সম্পর্ক আর কখনো জীবনে পাধো না ! কিন্তু গল্প করতে কসুতে রাত্ৰি ন’টার সময় চাটগাঁ, এলুম। রূত্বাদেবী থাবার করে নিয়ে বসে আছেন। --ভাগো আজি সীতাকুণ্ডে থাকিনি ! তারপর দিন সকালে উঠে কেশব জিনিষ নিয়ে স্টেশনে এল । রেণুর বই কেশবের হাতে দিয়ে দিলুম। চন্দ্রনাথের পাহাড় শুধু স্টেশন থেকে বেঁকে উত্তর পশ্চিম দিকে চলে গিয়েছে একেবারে হিমালয় পৰ্যন্ত । কি নিবিড় ঘন বনানী পাহাড়ের মাথায়। ওই একটা বিভিন্ন জগৎ যেন। ব্ৰাহ্মণবেড়িয়া স্টেশনে আসবার সময় মনে হোল অনেকবার আগে একবার RRa