পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ হিজল গাছের ঘাটে কত তৃপ্তি! সন্ধ্যা বেলা ডাঙা-উচু বনের মধ্যে দিয়ে । প্যাটাঙির দিকে হাজরাতলার ধারে বেড়াতে গোলুম ! সেই জামগাছের শেকড়টাতে বাসুলুম। তারপরদিন আবার সেই পথেই ফিরি। ঘাটশিলাতেও গিয়েছিলুম দ্বিজুবাবুর ওখানে সন্ধ্যায় বসে রোজ গ হোত । একদিন খুব বর্ষ। সন্ধার আগে আমি সুনীলদের མ་ বাড়ীতে এক স্বামিজীর সঙ্গে দেখা করতে গেলুম। ফিরবার সময়ে নদীর ধারের পথ হয়েই ফিরলুম। একজায়গায় নাবাল জমিতে অনেকখানি জল বেধেছিল। বীেমা ও উমাকে নিয়ে একদিন ফুলচুরির পেছনকার শালবনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কি সুন্দর কুরচি, স্কুল ফুটেচে বনে। একটা ঝর্ণ বর্ষার জলে ভরপুর, একে বেঁকে চলেচে বনের মধ্যে দিয়ে । ফুলডুংরি পাহাড়ে প্রায়ই সন্ধার সময় বেড়াতে পেতুম । একদিন ঘন বর্ষীয় সন্ধার সমস্যা এক কতক্ষণ পাহাড়ের ওপর বসে বসে ভৰলুম। এ ফুলডুংরি কতদিনের । পলাশীর যুদ্ধ ঘেদিন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখনও এমনি ছিল, বুদ্ধদেব ঘে রাত্রে গৃহত্যাগ করেন তখনও এমনি ছিল, ফুখন মহেঞ্জোদারো ও হারাঞ্জার সভ্যতার বর্ধমান, ঘেদিন, সম্রাট টুটেন থামেনের মৃতদেহ সাড়ম্বরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল—সেদিনও এই ফুলঝুরি এমনই ছিল, আজ যার ওপর ধলভূম রাজার পার্ক তৈরী হচ্চে। বনগায়ে এবার খুকু ছিল অনেকদিম। সেই ১৯৩৯ সালের পুকু আর নেই। প্রায়ই সন্ধ্যায় কল্যাণীকে নিয়ে < 1ড়াতে ঘেতুৰ্থ । ও গোল ৪ঠা আষাঢ়, সেদিন কল্যাণীকে সঙ্গে করে ওদের ছাদে বসে গল্প গুজব করা গেল । সস্তুও ছিল, রামদাসের মেয়ে । খয়রামারি শ্মশানের পাশে মাঠে মন্মথ দা, যতীন দা বিভূতিকে নিয়ে 爱 安象溶