পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকৰ্ণ বিকেলে বেড়াতে যৌতুম। ওটা নতুন আবিষ্কার। ইছামতীর জলে স্নান করে কি তৃপ্তিই পেতুম। এবার কি ভীষণ গরম গেল। নেয়ে তৃপ্তি নেই ঘাটশিলায়। ইছামতীতে সন্ধ্যার সময়েও নাই তুম । শরীর যেন জুড়িয়ে যেতো ঘাটশিলার পরে দেশে এসে। ঘাটশিলা, নাইবার কি কষ্টই গোল ক’দিন । একে গরম, তাতে ভাল করে স্নান করশ্বাস্ত্ৰ মত পুকুর নেই। দ্বিজু বাবুর পুকুরের ঘোলা জলে একদিন নেয়েছিলুম। যতীন দাকে গ্ৰহ নক্ষত্রের কথা খুব বলতাম। Jean’s ও Eddigtonএক্স Astronomy-টা এ ছুটীতে খুব পড়া গিয়েচে ও আলোচনা করাও গিয়েটে। রোজ তিনটের সময় কল্যাণীকে লুকিয়ে ও তার বকুনি সহ করেও ওদের আড়ায় চলে যে তুম ! যতীন দা দেখতুম বসে আছে। দুজনে আরম্ভ করত্নম গ্ৰহ নক্ষত্রের গল্প । কল্যাণী সন্ধার সময় পারতপক্ষে বেরুতে দিত না । অন্ধকারে পালালে ছুটে গিয়ে ধরে আনতে! } ছাদে শুতাম প্রায়ই গরমে। মাঝ नूiद्धिेउं फू'$tन् ८ुभ ञश्छॉभ } সকালে খুকুর বাড়ী যেতামই । ভাল কণ্ঠা, রেণুর সঙ্গেও দেখা হয়েছিল। এই ছুটিতে। যেদিন ঘাট শিলা ধাই, তার আগের রাত্রে। বিস্তৃতি মুখুয্যে, মনোজ এবং আমি বনগা এলুম। গোপাল নিয়োগীর বাসায় যেতে ফুলির ছেলের সঙ্গে দেখা, সে নিয়ে গেল ওঁদের ধাসায়। সেখানে ফুলির মার কাছে রেণুর ঠিকানা নিয়ে চলে গেলুম ক্যাম্বেলের সামনে দেখা করতে। রেণুই এসে দোর খুলে দিলে। খুব খুসি আমায় দেখে। সিড়ির নীচে পৰ্য্যস্ত নামিয়ে দিয়ে গেল। একথানা চিঠিও দিয়েছিল। পুরী থেকে-ফুটু নিয়ে গিয়েছিল ঘাটশিলাতে-বোমা ছিলেন। চমৎকার গ্ৰীষ্মের ছুটি শেষ হোল ।