পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকণ ধোমার ভয় । মৌভাঙার কারখানা কাছে-সবাই বলচে, এখানে কি * বোমা না পড়ে যায় ? অনেকদিন পরে আমার রিপন কলেজের সহপাঠী বন্ধু কল্যাণীর সঙ্গে সেদিন দেখা হোল নদীর ধারে স্বামীজির আশ্রমে। তাকে বাড়ী নিয়ে এসে চা,খাইয়ে দিলাম। বিকেলে তার পরদিন ওকে নিয়ে বেড়িয়ে এলাম “বিজয় কুটির” পৰ্য্যন্ত ও সুন্টুর ডাক্তার খানা। দেশে এসে বহুদিন পরে বারাকপুরে বাড়ী সারিয়ে ধাস করাচি । * - বৈশাখ মাসের প্রথমে এখানে এলুম-এর আগে চালকীতে ছিলাম। বেশ গৈচে-গোপালনগরে স্কুলে মাষ্টারি করি। রোজ মণিং স্কুলে থেকে ফিরে নদীতে স্নান করে আসি। বেশ লাগে। আজ সকালে প্রায় দু'মাস পরে এই ডায়েরী লিখচি। ক'দিন খুব কৰ্ম্ম গোল-আজ পরিস্কার আকাশে ঝলমলে রোদ। আকাশের কি অপূৰ্ব নীল রং! আমি রোয়াকের ঠেস্ বেঞ্চিটাতে বসে লিখচি। সবুজ গাছপালার ডালের ওপরে অসুস্কান্ত মণির মত, উজ্জ্বল নীল আকাশ! আজ অসুবৰ্ত্তন: বইখানা লেখা শেষ, করে কপি পাঠিয়ে দিলাম। গাত গ্রীষ্মের ছুটীতে ঘাটশিলায় গিয়েছিলাম দিন দশ বারো। রোজ ফুলডুংরিতে বেড়াতে ঘেতুম। একদিন শালবনের মধ্যে ৪ বেড়াতে গিয়েছিলাম। সুবোধবাবু একদিন এসে রাজা মাইনস পৰ্য্য* নিয়ে গেল । সুবৰ্ণরেখা পার হয়ে ধনুকল্পি পাহাড়ের দিকে চোখ রেখে বললুম, কি অদ্ভুত শোভা! হেঁটে গ্যালুড়ি এলুম, প্রোফেসর বিশ্বাসের বাড়ী খেয়ে চলে এলুম। বাড়ী। & Rb