পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাজপুর। NON) HHS HSLLM S SLLLSSSSaHS SLELESELLS LLLLLLLLS LLLSLLLeeeLLLLL LLLLLLLLe LLLM AAAASSS LLLLAeLSLSSSSSASLSLeSMLSSLS SLLLLL LLeLeeLeLSLLL মসজিদ তাহার প্রমাণ স্বরূপ রহিয়াছে। মুসলমানদিগের ধৰ্ম্মবিদ্বেষভাব বৈদিক ও বৌদ্ধ উভয়েরই প্ৰতি সমানভাবে প্ৰদৰ্শিত হইয়াছিল। এখনও বৌদ্ধমূৰ্ত্তির ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। যখন শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য দশাশ্বমেধ ঘাটে স্নান করিয়াছিলেন, তখন বৰ্ত্তমান যজ্ঞবরাহ-মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কিনা, ঠিক বলিতে পারা যায় না। প্ৰতাপরুদ্র ঐ মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। এখনও সেই মন্দির বর্তমান রহিয়াছে। কিন্তু নিকটস্থ রাজপ্ৰাসাদ ভগ্ন হইয়াছে। * বৈতরণীর অপর পারের পরিবর্তন অত্যধিক। যাজপুর ষোড়শ খৃষ্ট শতাব্দীতে মুসলমান ও উৎকলের হিন্দুদিগের বিগ্রহক্ষেত্র ছিল, ইহাতেও যাজপুর যে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় নাই। ইহাই আশ্চর্য্যের বিষয়। অনেক স্থানে অনেক লোকের বসতি ছিল, কিন্তু এখন সেখানে বসতিচিহ্ন নাই ; আবার অনেক স্থান এখনও অপূর্ব শোভা ধারণ করিতেছে। স্থানে স্থানে মন্দির, ব্ৰাহ্মণনিবাস ও প্রভূত নারিকেল বৃক্ষশ্রেণী। এখনও যাজপুরের পবিত্রতা, বৈতরণীর মাহাত্ম্য ও বিরজাদেবীর গরিমা যাজপুরের ব্রাহ্মণগণকে অন্নদান করিতেছে। গরুড়স্তম্ভে গরুড় না থাকিলেও উহা অপূৰ্ব্ব । প্রথমেই মহাপ্ৰভু সশিষ্য দশাশ্বমেধ ঘাটে স্নান করিলেন। ইহা দেবনদী পাপহরা বৈতরণীর বাম দিকে। বর্তমান প্ৰকৃত যাজপুর গ্ৰাম নদীর অপর পারে। ব্ৰহ্মা দশাশ্বমেধ ঘাটেই দশবার অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। পবিত্র নদীর পবিত্ৰ ঘাটে গৃহীর পিতৃতর্পণ কৰ্ত্তব্য। প্রস্তর নিৰ্ম্মিত ঘাটের পৈঠায় নবগ্রহের মূৰ্ত্তি অঙ্কিত। উপরেই বরাহক্ষেত্র। দক্ষিণ দিকে কাশীবিশ্বনাথের মন্দির। বামদিকে ও কয়েকটী ক্ষুদ্র মন্দিরে ক্রান্তিদেবী প্রভৃতি বিদ্যমান ; কিন্তু যজ্ঞবরাহের মূৰ্ত্তি ও মন্দিরই যাজপুরের প্রসিদ্ধির ঔ পবিত্রতার বিশেষ কারণ। নদী হইতে কয়েক হস্ত দূরেই এই মন্দির অবস্থিত। মন্দির দাক্ষিণাত্য প্ৰণালীতে নিৰ্ম্মিত ; অবয়ব ও উচ্চতায় ইহা বিশেষ দ্রষ্টব্য নহে। গৰ্ভগৃহে যজ্ঞবরাহ মূৰ্ত্তি ; ইহা কৃষ্ণ প্রস্তর নিৰ্ম্মিত।